ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে মো. বায়জিদ নামের এক শিক্ষার্থীকে। তবে তিনি এখনো নিয়মিত ছাত্র হিসেবেই হলে বসবাস করছেন। অংশ নিচ্ছেন ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের শেল্টারে বায়জিদ হলে থাকছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বায়জিদ ২০১৬-১৭ সেশনের ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ৫৮তম হয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ১ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগের দিন তিনি প্রশ্নপত্র পান বলে সিআইডির অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষার এই জালিয়াতির অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি বায়জিদসহ মোট ১৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা থেকে বায়জিদকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বায়জিদের কয়েকজন বন্ধু পরিবর্তন ডটকমকে জানান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বর্ধিত ভবনের ২০০৭ নম্বর রুমে থাকতেন বায়জিদ। বহিষ্কার হওয়ার পরেও তাকে সেখানেই থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে থাকছেন তিনি।
হল ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বায়জিদ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের অনুসারি এবং হল ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
তিনি হলে থেকে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে বায়জিদ সব সময় জবাব দেন, তাকে তো ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পরও হলে থাকার বিষয়ে বায়জিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সে নিয়মিত থাকে না। মাঝে একদিন হলে এসেছিল।’
তিনি বলেন, ‘বায়জিদেরর বহিষ্কারের কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। পাওয়ার পর আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের পর কেউ হলে থাকতে পারে না। আমি খোঁজ নিচ্ছি, সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন