আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিএনপির এক নেতাকে কারণদর্শাতে বলেছেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির হাজার হাজার কর্মী আওয়ামী লীগে আসার অপেক্ষায় রয়েছে, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন দাবির দুই দিন পরই এই নোটিশ জারি হলো বিএনপির কেন্দ্র থেকে।
নোটিশটি দেয়া হয়েছে চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজমকে। তিনি তিনি বন্দরনগরীর ৪নং মোহরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘যোগসাজস’ ছাড়াও ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কারণে মো. আজমের ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপির কেন্দ্র।
শনিবার চট্টগ্রামে সিডিএ গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামও। আর এই অনুষ্ঠানে আজমের যোগদানের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপিপন্থীদের মধ্যে সমালোচনাও তৈরি হয়েছে।
রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা নোটিশটি হাতে পেয়েছেন বিএনপি নেতা আজম।
এতে বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে, আপনি ১৭ মার্চ ২০১৮ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এম এ ছালামের সাথে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিসহ ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।’
এই অনুষ্ঠানটি ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আজমের আগে থেকেই সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টার প্রমাণ পেয়েছে বিএনপি। নোটিশে বলা হয়, ‘এছাড়া আওয়ামী লীগের সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত আছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
আজমের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন রিজভী। এই জবাব লিখিতভাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. আজম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘১৭ মার্চ নগরীর সিডিএ গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।’
ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে পদাধিকার বলে ওয়ার্ডের সব স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমি। স্কুলের হেডমাস্টার আমাকে স্কুলের ষষ্ঠ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিয়োগিতার দাওয়াত দিয়েছিলেন।’
‘যদি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কথা জানতাম, তাহলে যেতাম না। কারণদর্শানোর নোটিশেও এ কথাই বলব আমি।’
এর এক দিন আগে ১৬ মার্চ রাজধানীতে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বাংলায় আমাদের নেতারা, জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন যে, ওমুক জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দিতে চায়। আজকে বিএনপির হাজার হাজার কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় আছে।’
অবশ্য একই দিন মানিকগঞ্জ সফরে যাওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি উড়িয়ে দেন ‘রাবিশ, রাবিশ’ বলে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন