কাঁদল টাইগাররা, কাঁদল পুরো জাতি। নিদাহাস ট্রফির শিরোপা স্পর্শ করতে শেষ ওভারে ১২ রানের দরকার ছিল ভারতের। যেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। কিন্তু অতীত যে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এবারও অতীতের গেরো খুলতে পারলনা টাইগাররা। তবে লড়াইটা ছিল সেয়ানে সেয়ান। একেবারে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে ৪ উইকেটে হেরে গেছে লাল-সবুজের বাহিনী।
শেষ ওভারে উইকেটে ছিলেন ঝড়ো ব্যাট চলানো দিনেশ কার্তিক আর বিজয় শঙ্কর। দলের প্রধান বোলারদের কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় শেষ ওভারের দায়িত্ব পরে সৌম্য সরকারের কাঁধে। রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভারে খেলা বাংলাদেশের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল।
প্রথম তিনটি বল দারুণ করলেন সৌম্য। চতুর্থ বলটিও দারুণ করেছিলেন। কিন্তু ইয়র্কার বলটি কপাল খারাপ থাকায় চার হয়ে যায়। পরের বলে বিজয় শঙ্করকে সাব্বির আর মিরাজের যৌথ প্রচেষ্টায় ফিরিয়ে দেন এই পার্ট টাইম বোলার। তখন শেষ বলে ৫ রান দরকার ভারতের। শেষ বলে ছয় মেরে পুরো বাংলাদেশকে কান্নায় ভাসান কার্তিক।
রুবেলের শেষ ওভারে ২২ রান আর দিনেশ কার্তিকের মাত্র ৮ বলে ২৯ রানের তাণ্ডবে নাগালের মধ্যে এনেও স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় পুরল টাইগাররা।
সাথে পুড়ল আস্ত একটি জাতি। আর আহা আর্তনাদে ভারি হলো আকাশ বাতাস। চোখের জলে আবারও ভিজল জমিন, ঘাস আর পাগল কোটি বাঙালির গণ্ডদেশ। ভাগ্য যে এভাবেই লেখা। হতে হতেও কেন যে হয় না সেই রহস্য আরও গাঢ় হয়ে আগামী অন্য কোনো ফাইনালের জন্য অদৃশ্য হয়ে গেল। রেখে গেলো ভাঙা হৃদয় আর ভাঙা স্বপ্ন। খালি চোখে যা দেখা যাবেনা। অন্তরালে থেকে পাগল এক জাতির রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাবে। ঘুমের মধ্যেই গোটা বাংলাদেশ বলে উঠবে আহারে... আহারে...
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন