আপিল বিভাগে জামিন স্থগিত হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের ‘নতুন স্ট্র্যাটেজির’ খোঁজে বিএনপি। দলীয় প্রধানের মুক্তি আইনি গেড়াটোপে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় আন্দোলনের নতুন কৌশল বের করার কথা ভাবছে দলটির নেতারা। এজন্য তারা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া শিগগিরই জোট শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপির তরফে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হবে বলে জানা গেছে।
দলটির সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দলের সিনিয়র নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়ার কারাবাস যে দীর্ঘ হবে, তা আপীল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া তাঁর জামিন স্থগিত হওয়ার পর আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয় প্রধানের মুক্তি কীভাবে ত্বরান্বিত করার যায়, এ নিয়ে নতুন করে ‘রণনীতি’ প্রণয়ন করার কথা এসেছে বৈঠকে।
বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিগগিরই জোট শরিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে একটি যৌথসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হবে বলেও ঠিক করা হয়েছে।
জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও দলের নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন কোনো কর্মসূচি ঠিক করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা। তিনি মানবকণ্ঠকে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সরকার তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। আবার শক্ত কর্মসূচি দিয়েও সরকারের ফাঁদে পা দিতে চাচ্ছি না। তাই আলাপ আলোচনা করে নতুন কৌশল ঠিক করা হবে।
বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান,ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন