মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। সম্প্রতি মিয়ানমারে জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক এক সভায় এই তিনটি দেশের প্রতিনিধিরা সমবেত হন। সেখানেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) সদর দফতরে বিদ্যুৎ সচিব আহমাদ কাইকাউস এসব তথ্য জানান। বিমসটেকের ২০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘সম্প্রতি আমরা মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানেই চীন আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে— তারা মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।’
বিদ্যুৎ সচিবের ভাষ্য, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের এখন স্পর্শকাতর সম্পর্ক চলছে। তবুও এর মধ্যেই আলোচনা করছি আমরা। সম্পর্কের টানাপড়েন থাকতে পারে, কিন্তু এর মধ্যেও আমরা এগিয়ে যেতে পারি।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ সহযোগিতার উদাহরণ তুলে ধরেছেন আহমাদ কাইকাউস। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নেপাল, ভূটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করছি।’
ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দৃঢ়তার কথা উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ সচিব। তার মন্তব্য, ‘নেতৃত্বে যারা আছেন তারা যদি মনে করেন, কোনও কাজ করবেন তখন কারিগরি সমস্যা থাকে না।’
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও অন্যরা
এদিকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র ওয়েবসাইটে দেখা যায়, গত ১০ মার্চ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।
সু চি’র সঙ্গে বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় জ্বালানি প্রশাসনের ভাইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লি ফ্যানরং, মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী চ টিন এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী উইন খায়েং। সেখানে তারা বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সহযোগিতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন