মানুষ যখন পাপ করে ফেলে, তখন শয়তান মানুষকে দুটো কাজ করতে প্ররোচনা দেয়। প্রথমত, সে প্ররোচনা দেয় মানুষ যাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করে তার পাপকে অব্যাহত রাখে। দ্বিতীয়ত, শয়তান যদি তার এই প্ররোচনায় সফল না হয় এবং মানুষ যদি তার পাপকর্মের জন্য তওবা বা ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে তাকে তার তওবা কবুল হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ করার জন্য প্ররোচনা দেয়। তাকে এই চিন্তা করার প্ররোচনা দেয় যে, তার তওবা আল্লাহর কাছে কবুল হয়নি। যাতে করে সে হতাশ হয়ে আরো পাপের মধ্যে নিমজ্জিত হয়।
মানুষ যদি ধারণা করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন না, তবে এটি প্রভুর সম্মানের সাথে সাংঘর্ষিক। কেননা আল্লাহ বলেছেন,
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুণাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা যুমার, আয়াত- ৫৩)
এখানে আল্লাহ তার বান্দাদের বলছেন তার রহমত থেকে নিরাশ না হতে। কিন্তু বান্দা যদি নিরাশ হয়, তবে এটি আল্লাহর ঘোষণানু্যায়ী সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়, এবং এর মাধ্যমে আল্লাহকে অপমান করা হয়। আল কুর’আনের এই ভাষ্য অনুসারে, মানুষ যখনই আল্লাহর কাছে তার পাপের জন্য ক্ষমা চাইবে আল্লাহ তখনই তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বান্দা যদি আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে তার পাপকে স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে ঐ পাপ না করার জন্য অঙ্গীকার করে, তবে সে আশা করতে পারে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।
সুতরাং, মানুষ যদি কোনো ভুল করে ফেলে, তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। শয়তানের প্ররোচনায় হতাশ না হয়ে এবং ভ্রুক্ষেপ না করে ব্যক্তির উচিত আল্লাহর কাছে তার পাপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আল্লাহ আমাদের শয়তানের নিকৃষ্ট প্ররোচনা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।
মুফতি ইসমাইল মেনক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন