ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (ফাইল ফটো)। মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন তিনি
চলতি বছরের শেষ ভাগে বা আগামী বছরের প্রথম দিকেই দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা। নয়াদিল্লিও নজর রাখছে পরিস্থিতির ওপর।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গে বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
‘ভবিষ্যতে বিএনপিকে বাঁটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না’
সমুদ্র নিরাপত্তাসহ দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক সুরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বসছে বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন) দেশগুলোর দ্বিতীয় নিরাপত্তা বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বহুপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করবেন দোভাল।
দোভালের সফর নিয়ে করা আনন্দবাজারের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বছর শেষে ভোট। রাজনৈতিকভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুদেশের যোগাযোগ বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে ঢাকাও। নয়াদিল্লিও নজর রাখছে পরিস্থিতির ওপর। আগামী ৭ তারিখে ঢাকা সফর করবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা অথবা জঙ্গি সন্ত্রাসের মতো ঘটনা যাতে না বাড়ে, সেটাই চায় ভারত।
সম্প্রতি ঢাকায় বিমস্টেকের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, “গোটা অঞ্চলের জন্য সন্ত্রাসবাদই এখনও সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জঙ্গিদের কৌশল বদলাচ্ছে, তাদের নেটওয়ার্কও শক্তিশালী হচ্ছে। কোনো ভৌগোলিক সীমাই তারা মানে না। ফলে সন্ত্রাস রুখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
বিমস্টেকে রয়েছে ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডও। রোহিঙ্গা সমস্যাটি এই মঞ্চে তুলে ধরবে ঢাকা। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজে বের করা ভারতের কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দিল্লি। বাংলাদেশের পক্ষে ওই বৈঠকে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তারেক আহমেদ সিদ্দিকি। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, রোহিঙ্গা সমস্যার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগের বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পাবে। এই এলাকার জন্য একটি অভিন্ন কৌশল তৈরির চেষ্টা হবে বিমস্টেক বৈঠকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন