রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা (৫৮) হত্যা মামলার আসামি স্নিগ্ধা সরকার দীপা ও কামরুল ইসলামকে নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ বৃহস্পতিবার বিকালে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারের দিন থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
স্নিগ্ধা ও কামরুল নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন নিহত আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা। তার মৃত্যুর পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৯৪ সালে একই দিনে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কামরুল ও দীপা। ওই সময় স্কুলের সভাপতি ছিলেন কামরুলের বিমাতা ভাই নুরুল ইসলাম জাফরী এবং সহসভাপতি ছিলেন দীপার স্বামী বাবু সোনা।
চাকরি চলাকালে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন দীপা ও কামরুল। একপর্যায়ে পথের কাঁটা দূর করতে বাবু সোনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওই দুজন।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাবু সোনাকে হত্যা করেন দীপা ও কামরুল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন