চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের সেই কোচিং সেন্টারের সামনে পাহারা বসিয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া নুরুল আজিম রনি। সেখানে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে রনির ক্যাডার বাহিনী।
এরই মধ্যে কোচিং সেন্টারের তালা বদল করে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়েছেন তারা। অফিসের সিসি ক্যামেরাগুলোও খুলে নিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সেই কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া। সিএমপির পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সেই জিডি গ্রহণও করেছে। তারপরও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ঘর ছেড়ে এখন অন্যের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন কোচিং ব্যবসায়ী রাশেদ ও তার পরিবার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাশেদ মিয়া মোবাইল ফোনে পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার পাঁচলাইশ সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসায় যান নুরুল আজিম রনি ও তার লোকজন। সেখানে আমাকে না পেয়ে আমার কোচিং সেন্টারে যান তারা। এর পর থেকে কোচিং সেন্টারের তালা বদল করে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। এসময় আমার অফিসের সিসি ক্যামেরাগুলোও খুলে নিয়ে গেছেন। বাইরে পালাক্রমে পাহারা বসিয়েছেন ৮-১০ জনের ক্যাডার দিয়ে। এর আগে বাসায় গিয়ে কাউকে না পেয়ে হুমকি দিয়ে আসেন রনি ও তার ক্যাডাররা। এ কারণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এখন জীবননাশের আশঙ্কায় নিজের বাসা ছেড়ে অন্যের আসায় আশ্রিত হয়ে আছেন রাশেদ ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক ও রাশেদ মিয়ার দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খন্দকার মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, রাশেদ মিয়ার বাসা পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকায়। সেখানে আমাদের নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া আমরা তার সাথে টাইম টু টাইম যোগাযোগ করছি। আর কোচিং সেন্টার চকবাজার থানা এলাকায় জিইসি মোড়ে। চকবাজার থানার সাহায্য চাইতে পারেন তিনি।
সিএমপি পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানান, পুলিশ কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও তার পরিবারকে নিরাপত্তার জন্য যা করার সব করবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।
এ বিষয়ে জানতে নুরুল আজিম রনির মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল কলা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ইউনিএইড নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ মিয়াকে (৩৮) তার অফিসে চড়-থাপ্পড় মারেন ছাত্রলীগ নেতা রনি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে রনি তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন বলে রাশেদ মিয়া চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন