রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকার বেরাইদে বালু নদীর তীরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকে এলাকা ছেড়েছেন। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত কামরুজ্জামান দুখু মিয়ার শরীরে অন্তত ২৫টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের সময় তার শরীর থেকে ১২টি গুলি উদ্ধার করেছেন চিকিৎসক।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী বাছাই, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা ইস্যুতে পুরনো দ্বন্দ্বের জের ধরেই রোববার বেরাইদে আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আটজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
নিহত কামরুজ্জামান বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এম জাহাঙ্গীর আলমের আপন ভাই। একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কাঁচামাল সরবরাহ করতেন তিনি।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দু'জন জাহাঙ্গীরের আপন ভাই, একজন চাচা ও একজন ফুফাতো ভাই। বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর। তার সঙ্গে স্থানীয় এমপি রহমত উল্লাহ ও তার ভাগ্নে ফারুকের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বেরাইদে সংঘর্ষের ঘটনায় লাইসেন্স করা শটগান ছাড়াও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। অস্ত্রধারীদের এখন দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। ফারুক, আইয়ুব ও মহসিন গোলাগুলির সূত্রপাত করেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। তাদের মধ্যে ফারুক ও আইয়ুব এমপি রহমত উল্লাহর আপন ভাগ্নে।
শীর্ষনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন