রাজশাহীতে একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় ১০ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে নিহতের স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাত্র ১০ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু পর স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পুরো হাসপাতাল। মায়ের পাশাপাশি পাগলপ্রায় নানীও।

স্বজনরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১০ মাস বয়সী শিশু রাফিকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেন বাবা রনি আহমেদ। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সানাউল্লাহর পরামর্শে দুদিন ওষুধ সেবন করানো হলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটিকে আবারো ওই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তার বাবা।

তাদের অভিযোগ, এ সময় ইনজেকশন দেয়া হলে রাফির অবস্থার আরো অবনতি হয়। এর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত শিশুর এক স্বজন বলেন, 'ডাক্তারকে বলেছিলো, সাত-আটশ' টাকা ভিজিট নেন। কী ওষুধ দিচ্ছেন যে, সর্দি ভালো হচ্ছে না। এরপর ডাক্তার খেপে গিয়ে একটা ইনজেকশন লিখে দিয়েছে। ওই ইনজেকশন দেয়ার পরই ছেলে ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে গেছে।'

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান স্বজনরা। এ সময় তাদেরকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ স্বজনদের।

ভুক্তভোগী পরিবারের এক নারী সদস্য বলেন, 'ছেলের মা সিজারের রোগী, তাকেও মেরেছে। ছেলের বাবা এবং দাদাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে।'

এ নিয়ে ক্লিনিক ও আশপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, 'পরিস্থিতি শান্ত আছে। কোনো সমস্যা হয়নি। যে শিশুটি মারা গেছে তার পরিবার যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহরে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।'

শীর্ষনিউজ