মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে অ্যাকশনে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত কয়েক দিনের অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৯ জনকে ক্রসফায়ার দিয়েছে র্যাব। আটক হয়েছেন হাজারখানেক। এরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। গত চার দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে জিরো টলারেন্স ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাব।
গত ৪ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হন। শনিবার র্যাব সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৫ মে র্যাবের ব্যাটালিয়ন ১১-এর সঙ্গে বন্দুকযু্দ্ধে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী রিপন নিহত হয়েছে। একই দিন র্যাব ১২-এর সঙ্গে কুষ্টিয়ায় নিহত হয়েছে হামিদুল ইসলাম। একদিনের ব্যবধানে ১৭ মে র্যাব ৫-র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে রাজশাহীর আবুল হাসান ওরফে হাসান। একই ব্যাটালিয়নের সঙ্গে ১৮ মে চাপাইনবাবগঞ্জে মারা গেছে আব্দুল আলিম। সেও চাপাইনবাগঞ্জের শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে র্যাব।
এদিকে, ১৮ মে চট্টগ্রামেও র্যাব-৭-এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত হয় দুই জন। তারা হলেন, হাবিবুর রহমান প্রকাশ ওরফে মোটা হাবিব ও মো. মোশাররফ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে ঘটনার পর র্যাব জানিয়েছে।
এদিকে,১৯ মে র্যাব-৬-এর সঙ্গে যশোরের অভয় নগরে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়। তারা হলো, আবুল কালাম, হাবিব শেখ ও মিলন কাশারী।
উল্লেখ্য, র্যাবের মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরুর পর গত ১৫ মে ২ জন, ১৭ মে ১ জন, ১৮ মে ৩ জন এবং ১৯ মে ৩ জন নিহত হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গত ৪ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সারাদেশে র্যাবের ২ হাজার ২৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৯ টি মোবাল কোর্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৯২২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪৩০ জনকে ২৭ লাখ টাকার বেশি অর্থদণ্ড করা হয়েছে। র্যাবের ৪৮৫ অভিযানে প্রায় ২০ কোটি টাকার মাদক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন