মঙ্গলবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর সিলেট হাউসের বাসায় যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদদ্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী সদস্য রফিক হেলালী, সাবেক এমপি শাম্মী আখতার ও সুনামগঞ্জ জেলার নেতা নরুল ইসলাম সাজু।
RELATED NEWS
মানুষের প্রশংসা বিএনপির ভালো লাগছে না: কাদের
কানাডার আদালতে রিভিউতেও বিএনপি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’
প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেছেন: গয়েশ্বর
এসময় তারা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও তাদের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে দেখা করেন ও খোঁজ-খবর নেন।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘দলের নেতারা ইলিয়াস আলীর পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের পাশে থাকার কথা দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম টেলিফোনে তাদের খোঁজ নেন।’
এর আগে, সোমবার (২১ মে) দিনগত রাত তিনটা থেকে সাড়ে চারটার দিকে ইলিয়াস আলীর বাসায় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদি লুনা।
তিনি জানান, গভীর রাতে ডিবি পরিচয়ে বাসায় এসে কয়েকজন গেট খুলতে নিরাপত্তাকর্মীকে জোরাজুরি করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তারা কয়েক দফায় এ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।
নিরাপত্তাকর্মীর বরাতে তিনি বলেন, ডিবির লোকেরা নিরাপত্তাকর্মীকে গেট খুলতে বলেন। না খোলায় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। কয়েক দফা এসে তারা গেট ভাঙ্গারও চেষ্টা করেন। এ সময় ডিবির লোকেরা ল্যাপটপ এনে তাতে কি যেন দেখানোর চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনা আঁচ করতে পেরে আমি আর্তচিৎকার শুরু করলে ফটকের বাইরে অবস্থান নেয়া ডিবির সদস্যরা চলে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে ঢাকার মহাখালী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী এবং তার গাড়িচালক আনসার আলী।
মধ্যরাতে মহাখালী এলাকা থেকে ইলিয়াস আলীর গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইলিয়াস আলী নিখোঁজের কারণ রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন