তাজিনের মা দিলারা জলি চেক ডিজঅনার এর একটি মামলায় গত দুই বছর ধরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় করাগারে বন্দি আছেন। ‘খেয়া’ নামের তার একটি প্রোডাকশন হাউজ ছিল।
তাজিনের মরদেহ মাকে দেখাতে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ কারাফটকে নেওয়া হয় বলে জানা যায়। তাজিনের মাকে কারাগারের ভেতর থেকে কারা ফটকে এনে মেয়ের মরদেহ দেখানো হয়। কিছু সময় পরেই আবার তাজিনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
তাজিনের বয়স যখন দেড় বছর, তখনই বাবা মারা যান। শিশু কন্যাকে বুকে আগলে রেখে একটা জীবন কাটিয়েছেন মা। নিজে আর কখনোই কোনো সম্পর্কে জড়াননি। কষ্টে-আহ্লাদে মানুষ করেছিলেন মেয়েকে। সেই মেয়েকে শেষ বিদায় দিতে কিংবা শেষ দেখা দেখতে গিয়ে যেন শোকে পাথর হয়েছিলেন তাজিনের মা। যখন সেই পাথরে আবেগ আঘাত হানলো, নিষ্ঠুর নিয়তির প্রতি মায়ের ক্ষোভ যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরে গেল। মা একা হয়ে গেলেন।
এর আগে জানা গিয়েছিল তাজিনের মা বৃদ্ধাশ্রমে। কিন্তু পরবর্তীতে কারাগারের সঠিক তথ্যটা জানা যায়।
সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরার আনন্দ বাড়ি শুটিং স্পটে রাখা হয় তাজিন আহমেদের মরদেহ। সেখানে তার সহকর্মী ও শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শেষবারের মতো দেখতে আসেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মরদেহ সেখানে রাখা হয়। এরপর বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজার পর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁর বাবার কবরে তাকে দাফন করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সন্ধ্যায় উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের একটি মসজিদে গোসল শেষে তাজিনের মরদেহ উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট হাসপাতালে রাখা হয়। সেখান থেকে রাত ১০টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন