তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান মঙ্গলবার টেলিফোনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন।সম্প্রতি প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা ও পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে এরদোগান এবং আব্বাস কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও, মাহমুদ আব্বাসের দ্রুত শারীরিক সুস্থতা কামনা করেন এরদোগান।
মেডিকেল টেস্টের জন্য রবিবার আব্বাসকে রামাল্লা’র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৮ মে ইস্তাম্বুলে শেষ হওয়া ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন এবং সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণার বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে অবহিত করেন।
উভয় নেতা ইস্তাম্বুল সম্মেলনকে ইসলামি দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হিসাবে আখ্যা দেন।
শীর্ষ সম্মেলনে ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে মুসলিম নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এরদোগান। গত সোমবার গাজা সীমান্তে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালালে অন্তত ৬২ জন শহীদ হন। এছাড়াও আহত হন দুই হাজারেরও বেশি লোক। এই হত্যাযজ্ঞে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা কুড়ায় এবং এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ইস্তাম্বুলে মুসলিম নেতাদের সামনে এরদোগান বলেছিলেন, ‘ইসরাইলি দস্যুতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পদক্ষেপ গ্রহণ পুরো বিশ্বকে এটা দেখাচ্ছে যে মানবতা এখনো মরে যায়নি।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বর্বরতা ও হত্যাযজ্ঞকে ‘দস্যুতাবৃত্তি, পাশবিক এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সমালোচনা করে বলেন, অনিবার্যভাবে এটি তাদেরকে গ্রাস করবে।
ইস্তাম্বুল সম্মেলনে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা উপস্থিত থাকলেও সৌদি আরব কেবল তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে পাঠান। একইভাবে, বাহরাইন, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের নিচের সারির মন্ত্রীদের পাঠায়।
সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি ইস্যুটি আজ বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত মানুষের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। তিনি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ‘পাশবিক গণহত্যা’ চালানোর জন্য ইসরাইলের নিন্দা করেন।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে না, বরং তারা এখন সমস্যার একটি অংশে পরিণত হয়েছে। তিনি মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরকে ইসলামিক নেশন, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ওপর আগ্রাসন হিসেবে বর্ণনা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন