আসামিকে না পেয়ে তার সন্তানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার আহত শিশুটির নাম আহনাফ শাহরিয়ার আলিফ।
বর্তমানে সে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আলিফ সাদুল্লাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সে ওই গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে।
ঘটনাটি সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত খেজুর গ্রামের। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসে শুক্রবার দুপুরে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কিশামত খেজুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী নজরুল ইসলামের সঙ্গে সোলাইমানের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে সোলাইমান নজরুল ইসলামসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বুধবার মধ্যরাতে সাদুল্লাপুর থানার এসআই মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই মামলায় সাজু মিয়া নামের এক আসামিকে ধরতে তার বাড়িতে যায়। তারা সাজু মিয়াকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ছেলে আলিফকে এএসআই আরিফ বুক ও পিঠে কিলঘুষি মারে। এতে গুরুতর আহত হয় আলিফ। পরে তাকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে আলিফের মা আশা বেগম জাগো নিউজকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সোলাইমানের দ্বন্দ্ব চলছে নজরুলের সঙ্গে। কিন্তু আমার স্বামীকে হয়রানি করার জন্য মামলা করা হয়। গত বুধবার গভীর রাতে একদল পুলিশ আমার বাড়িতে আসে। তারা আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আমার ছেলে আলিফকে কিলঘুষি মেরে আহত করে নানা ধরনের হুমকি দেয়। আমার ছেলেকে নিয়ে এখন আতঙ্কে আছি।
হাসপাতালের তৃতীয়তলায় কেবিনে চিকিৎসাধীন আলিফ জাগো নিউজকে জানায়, এএসআই আরিফ আমার বুকে ও পিঠে কিলঘুষি মেরে আঘাত করে। এখন আমার বুকে ব্যথা। আমি দুইদিন স্কুলে যেতে পারিনি। আমি তার বিচার চাই।
সাদুল্যাপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনশাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, আলিফ পুলিশের মারধরে আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই আরিফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগটি মিথ্যা।
সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ছুটিতে থাকায় কথা হয় উপ-পরিদর্শক এবং ওই অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মাহাবুব আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ঠিক। তবে সেখানে আলিফকে মারধরের ঘটনা সঠিক নয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন