গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ জোড়াপাম্প এলাকায় ৪টি ঝুটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কালিয়াকৈর ও সাভার ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস এর ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে গুদাম মালিকরা দাবি করেছেন।
এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং লোকজনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা–জয়দেবপুর অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই থেকে জয়দেবপুরের চান্দনা চৌরাস্তা/ভোগড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সন্ধ্যে সোয়া ৭টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট অব্যাহত রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার অপূর্ব বল জানান, বিকেল ৫টার দিকে চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ জোড়াপাম্প এলাকায় আলমগীর হোসেনের একটি ঝুট গোডাউনে প্রথমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে মূহুর্তের মধ্যে পাশে মনির, আলতাফ ও হারিজের গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ারসার্ভিস এর দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্তরণে কাজ শুরু করে। পরে ইপিজেট ফায়ারসার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ওই ৪ গোডাউনে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৪০/৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে গোডাউন মালিকরা দাবি জানান।
এদিকে তাৎক্ষণিক ভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ হোসেন সরকার জানান, মহাসড়কের পাশেই অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিকেলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন