বিশেষ প্রতিনিধি
শেখ হাসিনার কথিত বন্ধু’ রাস্ট্র ভারত বাংলাদেশকে মহাবিপর্যয়ে ফেলতে গভীর নীলনক্সা বাস্তবায়ন করে চলেছে। পাহাড়ী ঢল ছেড়ে কৃত্রিম অকাল বন্যার পর ইউরেনিয়ামের খনি থেক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের মৎস আকর আর ধান ভান্ডার বলে সুপরিচিত দনি-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর হাওর এলাকায়। ইতমধ্যে হাওরের জনপদে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে শুরু করেছে। যেখানে প্রায় দুই কোটি লোকের বাস। যাদের ৮০ ভাগই হাওরের বোরো ধান এবং মাছের উপর নির্ভরশীল। এবার কৃত্রিম পাহাড়ি ঢলের পর পার্শবর্তী মেঘালয় ইউরেনিয়াম খনি থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছাড়া হচ্ছে হাওড়ে। যা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা হাওর এলাকায়। যার ফলে হাওর এর পানি বিষাক্ত হয়ে ফসল,মা, হাঁস, সহ সকল জীব বৈচিত্র মরে যাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রানচাঞ্চল্য। লাখ লাখ বোরো চাষী সর্বশান্ত হয়ে গেছে।এই তেজস্ক্রিয়তা-দূষিত পানি যখন নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বৃহত্তর সিলেট , বৃহত্তর ময়মনসিংহ ,বৃহত্তর ঢাকা, বৃহত্তর কুমিল্লা,বৃহত্তর ফরিদপুর, নোয়াখালী ও ভোলা জিলা সহ অন্যান্য জেলা সমূহের নদীসমুহের উপর দিয়ে যাবে তখন এর বিষাক্ত ছোবলে ঐ সকল নদীর মৎস সম্পদ নষ্ট হয়ে যাবে।
বিষাক্ত পানি বাহিত নদীর মাছ খেয়ে মানব দেহ দূরারোজ্ঞ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে- যেমন- ক্যান্সার, কিডনী বিকলতা, হাঁপানি বব্যাধি ,অনিরাময় যোগ্য চর্মরোগ, সহ নানান জটিল রোগ। জন্ম নিবে বিকলঙ্গ শিশু। কমে যাবে জন্মহার । এই পারমানবিক দুষন এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হবে বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ।ওই দুষিত পানি সেচ কাজে ব্যবহার করলে শষ্য ,ফল ফলাদির মাঝেও এর তেজস্ক্রিয়তা ঢুকে যাবে যা মানব দেহের জন্য মারাত্বক তি সৃষ্টি করবে। অনিবার্যভাবে নেমে আসবে ভয়ঙ্কর এক মানবিক বিপর্যয়। এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও ওই হাওর এলাকা এখনো দুর্গত অঞ্চল ঘোষনা করছেনা সরকার। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম হাওর এলাকা পরিদর্শন করে এসে ওই এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষনার জোর দাবি করছেন। দলের নেতারা বারবার এই দাবি তুলে ধরছেন। পত্র-পত্রিকা-টিভিসহ সকল মিডিয়া প্রতিদিন হাওর এলাকার ভয়াবহ বিপর্যয়ের চিত্র ও পরিস্থিতি তুলে ধরছে। এতো কিছুর পরেও শেখ হাসিনা সরকার যেনো তামাশা দেখছে। সরকার দলীয় কোন মন্ত্রী নেতা এ অবধি দুর্গত এলাকায় যাননি। ঢাকায় বসে তাদের মন্ত্রি এবং নেতারা হাওরের পরিস্থিতি নিয়ে টিটকারী ও তাচ্ছিল্যমুলক কথা বলছেন। আ’লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন,হাওর নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। সরকারের নিদেশে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেছেন, যাদের জ্ঞানই নেই তারাই দাবি করছে দুর্গত এলাকা ঘোষনার।
জানা গেছে,ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালী হাওরবাসীকে শেষ করে দেয়ার এই প্রক্রিয়ায় মদদ যোগাচ্ছে। শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত কোন কথাই বলেনি দুই কোটি মানুষের জীবন মরণের এই সংকট নিয়ে। খুবই নীরবে একটি ভয়াবহ এবং ভয়ংকর কৃত্রিম দুর্যোগ ঘটিয়ে কি চায় ভারত? না খাইয়ে, রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত করে এবং দারিদ্রের বাংলাদেশ বানাতে কি এই ষড়যন্ত্র? হাসিনা ভারতকে সব কিছু উজাড় করে দিয়ে এসে এখন কি বাংলাদেশের মানুষকেও শেষ করতে চায়? হাসিনা কি জেনে শুণে চানক্যবাজ ভারতের ফাঁদে পা দিচ্ছে না-কি না জেনে বুঝে ভুলে পা দিয়েছে? এদিকে পত্র-পত্রিকায় খবর বেরুচ্ছে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় ভারতীয় বোরো বীজ এবং কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে সেসব বোরোতে ব্লাস্ট রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ধান পেকে গেছে। অথচ শীষ চিটা হয়ে শুকিয়ে ধারণ করেছে সোনালি রঙ। ধান বাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে এভাবে শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এর ফলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতীয় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার করায় অনেক এলাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এবার এ কারনে বোরো ফলন অনেক কমে যাবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।
কেবল বোরো ধান শুকিয়ে চিটা হওয়া নয় ব্লাস্ট রোগে গমও আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের পাবনা,যশোর,খুলনা,রাজশাহী,নাটোর,বগুড়াসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন,ভারতীয় বীজ বীজ ব্যবহারের জন্য কৃষি বিভাগের হিন্দু কর্মকর্তা এবং হিন্দু মাঠ কর্মকর্তারা কৃষকদের বাধ্য করছে।
পাঠক মন্তব্য
I’ve been surfinbg online mode thqn 2 hurs today, yett Inevsr foud anyy interesting article like yours. It’s prettry wortth emough forr me. Personally, iff all webb ownbers aand bloggers mae gopod content aas you did, the internewt woll bee mich more usseful than evber before. It’s the bdst time tto maie somme plans for the longer tem and it’s timke too be happy. I have read this puut upp annd iif I may I want too suggyest yyou somme fascinating isxues orr suggestions. Perehaps you could writre next articless referring too thos article. I desire tto leartn mlre isssues aapproximately it! I am sue his paragraph hhas touched alll thhe interhet visitors, itss reaslly reaoly pleasabt parzgraph on builcing up neew website. http://foxnews.net
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন