বিশাল হলরুম ভর্তি শ’তিনেক নির্বাচিত মেহমান। সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন সামনের মঞ্চের দিকে। আলো ঝলমলে আর বাহারি সাজে সাজানো বিশাল মঞ্চে বর-কনে দাঁড়িয়ে আছেন। এক একজন যাচ্ছেন, আর বর কনের সাথে ছবি তুলে ফিরে আসছেন। হাসি হাসি মুখ তাদের। আর বর কনের মুখ থেকে যেন হাসির রেখা সরছেই না।
মঞ্চ থেকে হাসিমুখে নামতে নামতে অপেক্ষাকৃত তরুণ মেহমানকে বলতে শোনা গেল- ‘খুশি, খুব খুশি, জামাই খুব খুশি।’
এমনটিই ছিল শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিত্তশালীদের হোটেল লা মেরিডিয়ানের ১৬তলার হল ঘরটির ছবি। যেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ৬৫ বছর বয়সের বর, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিযাউদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং দলটির চেয়ারম্যান সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চল্লিশোর্ধ ভাগ্নি মেহেজেবুন্নেছা টুম্পার বিয়ের রিসিপশনের অনুষ্ঠান।
পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই মঞ্চে অসংখ্য আমন্ত্রিত অতিথির সাথে নববধূর সাথে ফটোসেশন করলেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। ফাঁকে ফাঁকে মঞ্চ থেকে নেমে তার মামা শ্বশুর এরশাদের খোঁজখবর নিলেন। অন্যান্য মেহমানের সাথেও কুশল বিনিময় করেন।
সেখানে অতিথি ছিলেন এইচ এম এরশাদসহ বর কনের দুই পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের বেশিরভাগ সদস্য, চলচ্চিত্র নায়ক সোহেল রানা এবং বেশ কয়েকজন সুশীল সামজের সদস্য।
তবে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ শুক্রবার সকালের কাবিনের অনুষ্ঠানে যেমন ছিলেন না তেমনি ছিলেন না রিসিপশন অনুষ্ঠানে।
আমন্ত্রিত অতিথিদের নানা পদের খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। যার মধ্যে ছিলো বাসমতি চালের কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, সালাদ, খাসির রেজালা, টিকিয়া কাবাব, সবজি, বোরহানি, চাটনি, দধি, ফিন্নি ও নানান রকম ফল।
জানা যায়, এরশাদের আগ্রহেই বাবলুর সঙ্গে তার ভাগ্নি টুম্পার বিয়ে ঠিক হয়।
জিয়াউদ্দিন বাবলু দশম জাতীয় সংসদে জাপার দলীয় সংসদ সদস্য। তার শাশুড়ি মেরিনা ইয়াসমিন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। মামা শ্বশুর এরশাদও এ সংসদের সদস্য। আর মামি শাশুড়ি রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।
জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। ফরিদা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বাবলুর নতুন স্ত্রী মেহেজেবুননেছা রহমানও অধ্যাপক। তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর। প্রথম সংসারে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্ত্রী ফরিদা সরকারের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে আশিক আহমেদকে নিয়ে আছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। ছেলে এমবিএ শেষ করে ব্যবসা করছেন। তিনিও বিয়ে করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন