কন্যাশিশু অপছন্দকারী স্বামী সাবু মিয়া তালাকের হুমকি দেয়ায় আকলিমা খাতুন নিজেই রাতের আঁধারে পাঁচ দিনের মেয়ে কুলসুম খাতুনকে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন।
শনিবার বিকালে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামানের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে আকলিমা এসব কথা বলেন।
পরে শিশুর বাবা সাবু মিয়া ও মা আকলিমা খাতুনকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
এর আগে শনিবার সকালে নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটলাল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আকলিমা আদালতকে জানান, স্বামীর ভয়ে ও সংসার রক্ষায় তিনি নিজেই তার পাঁচ দিনের কন্যা কুলসুমকে পুকুরে ফেলে দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নন্দীগ্রাম থানার এসআই শুকুর আলী জানান, আদালতে মা আকলিমা স্বীকারোক্তি দেয়ায় হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পরে ওই দম্পতিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘর থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয় এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ধাপপাড়ার একটি পুকুর থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।
এলাকাবাসীরা জানায়, হাটলাল গ্রামের দিনমজুর সাবু মিয়া ৮-৯ বছর আগে প্রতিবেশী আকলিমা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে তিন বছর বয়সের মেয়ে আছে। আকলিমা আবার অন্তঃসত্ত্বা হলে সাবু মিয়া তাকে জানিয়ে দেন এবার মেয়ে হলে তালাক দিবেন।
পাঁচ দিন আগে আকলিমা আবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আকলিমাকে গালিগালাজ ও বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন সাবু মিয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন