এক চিকিৎসকের দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় শেরপুরের তিন তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকার বান্দিা তরুণ সামাজিক সংগঠক বর্ষণ কারুয়া, শেরপুর সরকারি কলেজের বিতার্কিক খরমপুর এলাকার এমদাদুল হক রিপন ও নবীনগর এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান হৃদয়।
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে শেরপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে রাতেই ময়মনসিংহে নিয়ে যায়। শনিবার বিকেলে গ্রেফতারদের ময়মনসিংহের বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, বর্তমানে ময়মনসিংহের মাসকান্দা এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে বসবাসকারি শেরপুর শহরের কাজিবাড়ি গৌরীপুর এলাকার বাসিন্দা ডা. এ এফ এম হেফজুল বারী খান বাদী হয়ে গত ৮ মে মামলাটি করেছেন।
মামলায় ওই তিনজনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ওই দায়ের করা মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০১৬ এর ৫৭ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাদীর দায়ের করা শিশু আদালতের একটি রায়ে আসামির সাজার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে আইসিটি মামলার আসামিরা ফেসবুকের মাধ্যমে বিচারক ও বাদীর বিরুদ্ধে গালাগালি ও মারার হুমকি প্রদর্শন করার অপরাধ করেছেন।
এদিকে, সন্ধ্যায় ওই তিন তরুণের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ময়মনসিংহের বিচারিক আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন