রাজধানীর শ্যামপুরের একটি ফ্যান কারখানার কর্মচারির (১৭) পায়ুপথে বাতাস ঢুকানোর অভিযোগ উঠেছে তারই সহকর্মীর বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে মীরহাজিরবাগ পাইপরাস্তা এলাকার জমজম ফ্যান ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে।
তবে হাসপাতালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অসুস্থ শ্রমিক মঞ্জু তার পেটে বাতাস ঢোকার কথা অস্বীকার করছে। কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তার বলছেন, যেভাবেই হউক ওর ভেতরে বাতাস ঢুকেছে, এখন পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শ্রমিক মজ্ঞুর সহকর্মী শুভ দাবি করেন, জম জম ফ্যান ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক মঞ্জু তার সাথে তিন মাস ধরে কাজ করছে। আজ দুপুরের দিকে তার আরেক সহকর্মী আরিফ ‘দুষ্টুমির ছলে’ কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে মঞ্জুর পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়। এতে মজ্ঞু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমন অভিযোগ উঠার পরই কারখানার অন্য শ্রমিকরা বাতাস ঢোকানোর অভিযোগে আরিফকে কারখানায় আটকে রাখেন।
আজ রাত ৮টায় শ্যামপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমি এই মাত্র ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই অসুস্থ শ্রমিক মঞ্জু এবং জরুরি বিভাগের ইন্টার্নি চিকিৎসকদের সাথে আলাপ করে এসেছি। মঞ্জুর কাছে পায়ুপথে তার পেটে বাতাস ঢুকানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলছেন, আমার পেটের ভেতরে কিভাবে বাতাস ঢুকবে? এমন ঘটনার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করছে সে।’
রোগীর পেট স্বাভাবিক দেখেছেন জানিয়ে সাব ইন্সপেক্টর বলেন, তার ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলছেন, যেভাবেই হোক রোগীর পেটে বাতাস ঢুকেছে। এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। রোগী এখন অবজারভেশনে রয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর সহকর্মী শুভ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাকেও আমি জিজ্ঞাসা করেছি। সে আবার বলছে মঞ্জুর পেটে বাতাস ঢুকানো হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারছি না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন