যাকাতের কাপড়ের ব্যবসায় এবার মন্দা দেখা দিয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাজধানীর গুলিস্থান, ইসলামপুর, মিরপুর, মতিঝিল অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা এমনটি দাবি করেন। এসব অঞ্চলের কমপক্ষে ৩০ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গত বছর ১০ থেক ১৫ রোজার মধ্যে যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছিল এবার তার ২০ ভাগের এক ভাগও বিক্রি হয়নি।
তারা জানিয়েছেন, এবার যাকাতের যেসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে নিম্ন মানের শাড়ির দাম প্রতি পিস ২২০ থেকে ২৫৫ টাকা। এর থেকে একটু ভালো মানের শাড়ির দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর যাকাতের স্ট্যান্ডার্ড মানের শাড়ির দাম ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তবে এর থেকে বেশি দামের শাড়ি যাকাতের জন্য বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে নিম্ন মানের লুঙ্গির দাম ২১০ থেকে ২৩০ টাকা। তবে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা দামের লুঙ্গিগুলোই যাকাতের কাপড় হিসেবে সব থেকে স্ট্যান্ডার্ড মানের। ক্রেতারা চাইলে বেশি দামের লুঙ্গিও কিনতে পারেন।
যাকাতের শাড়ি ও লুঙ্গি পাইকরি বিক্রি করেন এমন একটি প্রতিষ্ঠান মতিঝিলের টেকনো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার এস এম জাকির হোসেন বলেন, যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি যা বিক্রি হওয়ার তা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। এখন বিক্রি আর তেমন একটা নেই। মাঝে মধ্যে দুই একজন ক্রেতা আসছেন।
তিনি বলেন, গত বছর যে পরিমাণ বিক্রি করেছি এবার তার অর্ধেকও বিক্রি হয়নি। ব্যবসায় বেশ মন্দা। গত ১০ বছরের মধ্যে এমন কম বিক্রি আগে কখনো হয়নি।
বিক্রি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্রেতাদের না আসার কারণ জানা নেই। তবে ধারণা ছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার যাকাতের কাপড় বিক্রি বেশি হবে। কিন্তু তা হলো না।
গুলিস্থান খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সের আচঁল শাড়ি হাউজের আনোয়ার হোসেন ইকবাল বলেন, যাকাতের শাড়ি, লুঙ্গিতে লাভ করি না বললেই চলে। কম দামেই যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করা হয়। ভালো মানের শাড়ি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর ১০ রোজার মধ্যেই যে পরিমাণ বিক্রি করেছিলাম এবার ২৩ রোজা পর্যন্ত তার ২০ ভাগের এক ভাগও হয়নি। ঈদের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি আছে। এ সময়ের মধ্যে আর খুব একটা বিক্রি হবে বলেও মনে হচ্ছে না।
পীর ইয়ামেনী মার্কেটের স্বার্ণলতা শাড়ি বিতানের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. সেলিম জানান, তারা পাড় বিহীন শাড়ি ২৫৫ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর পাড় আছে এমন শাড়ির কিনতে দাম পড়বে ৪৫০ টাকার ওপরে। ২৫৫ টাকা দিয়ে প্রাইডের শাড়ি পাওয়া যাবে। একে প্লাস শাড়ি কিনতে লাগে ৩৫০ টাকা। আর ৪৫০ টাকা দিয়ে তাতের শাড়ি পাওয়া যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন