আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘কেউ যদি বলে একজন একটা দেশ স্বাধীন করতে পারে নাই। একজন একটা দেশ গঠন করতে পারে না। এ উক্তি খুবই দুঃখজনক।’আজ রোববার সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সেক্টরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মসূচিটির আয়োজন করে।
তোফায়েল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি ছয় দফা না দিতেন, আগরতলা মামলা হতো না। আর আগরতলা মামলা না হলে আমরা বাঙালি জাতি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু না থাকলে আমরা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হতাম না। ৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী না হলে, এ বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তাই যদি কোনো পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এক ব্যক্তির নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয় নাই, তখন দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছুই বলার থাকে না।’
এর আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী প্রত্যাহার মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধান বিচাপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয়নি।’বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায়ের পর আমরা কোনো মন্তব্য করি নাই। কিন্তু বিএনপি আমাদের পদত্যাগের দাবিতে কথা বলতে শুরু করল, এ ছাড়া অনেক কথা তারা বলা শুরু করল। রায় নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে যেসব কথা বলা হয়েছে তা দুঃখজনক। রায় নিয়ে নয়, রায়ের বাইরে আমাদের (সংসদ সদস্য) অপরিপক্ব বলা হয়েছে, তা খুবেই দুঃখজনক কথা। আমরা লেখাপড়া জানা শিক্ষিত মানুষ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখনই এ রায় নিয়ে আনন্দ-উৎসব করে, তখন আমাদের কিছু বক্তব্য না দিয়ে উপায় নেই। বিএনপি এ বিষয়ে যতবার বলবে, তার জবাব আওয়ামী লীগ ততবার দিবে। তবে আমরা মনে করি এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভালো। বিএনপি মনে করে, তাদের মনের কথা এ রায়ে দিয়ে দিয়েছে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিচারপতি খায়রুল হকের সমালোচনা করে বলছেন, তিনি আদালত অবমাননা করেছেন। ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনি কেন এত আনন্দিত? আপনার নেতা জিয়াউর রহমানকে তো ক্ষমতা দখলকারী বলা হয়েছে। আপনি কেন উল্লাস করেন?’
গতকাল রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত সংবাদপত্র পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনের করা মন্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণয়ন করেছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু সেখানে তিনি অনেক কায়দা করে উকিলের মতো সত্যকে গোপন করেছেন। বিচারপতি ইমপিচমেন্টের ক্ষমতা সংসদের হাতে তা ১৯৭২ সালের সংবিধানে ছিল। কিন্তু এখন কামাল হোসেন , আমীর উল ইসলামরা অন্যভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহিতুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ।
ntv
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন