সুটকেস থেকে এক একটা করে প্লাস্টিকের ছোট ছোট প্যাকেট বের করছিলেন মহিলা। ভিতরে রাশি রাশি কয়েন। গোনতে গোনতে গজগজ করছিলেন তিনি, ‘সব ওর চালাকি, আমাকে টাইট দেয়ার চেষ্টা।’
অভিযোগের আঙুল যার দিকে, তিনি মহিলার স্বামী সিদ্ধার্থ নন্দী। ভারতের শেওড়াফুলির বাসিন্দা সিদ্ধার্থবাবুর বিরুদ্ধে কিছু দিন আগে খোরপোশের মামলা করেন স্ত্রী টুম্পা।
আদালতের নির্দেশে মাসে ৬ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হয় সিদ্ধার্থকে। পাঁচ মাসের বকেয়া আদালতে এসে মিটিয়েছেন এক সঙ্গে। কিন্তু ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ১৮ হাজারই দিয়েছেন ২, ৫ আর ১০ টাকার কয়েন।
‘গোনতে গোনতে তো দিন কাবার হয়ে যাবে। ‘এক ঘণ্টা কেটে গেল, সবে দু’হাজার টাকার হিসেব মিলেছে।’— শ্রীরামপুর আদালত চত্বরে বসে এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন টুম্পা।
সিদ্ধার্থর আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, কয়েনের লেনদেন বেআইনি নয়। বরং কেউ খুচরো নিতে না চাইলে থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায়।
তাই টুম্পাদেবী যতই গজগজ করুন না কেন, কয়েনই নিতে হয়েছে তাকে।
টুম্পাদেবীর আইনজীবী সব্যসাচী বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজারে খুচরো চালানো কতটা ঝামেলার, সেটা কারও অজানা নয়। জেনেশুনে আমার মক্কেলকে বিপাকে ফেলতে এত খুচরো হাজির করেছেন সিদ্ধার্থ।’
সিদ্ধার্থ জানান, তিনি মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা করেন। অনেকেই কয়েনে দাম মেটান। খুচরোর পাহাড় জমে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক পয়সা নিতে চাইছে না। খোরপোশের টাকা যখন দিতেই হবে, ভাবলাম কিছু খুচরো অন্তত ঘর থেকে বিদেয় করি।
সূত্র: জি নিউজ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন