বগুড়ায় ধর্ষণের শিকার সেই কিশোরীকে সেফ হোম থেকে নিজের জিম্মায় নিতে চেয়েছেন তার বাবা।
রোববার বগুড়া শিশু আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমানুল্লাহ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “কিশোরীর বাবা রোববার আমার সঙ্গে দেখা করে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিজ জিম্মায় নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এজন্য তিনি আদালতে আবেদনও করতে চেয়েছেন। ”
বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।
আদালতের নির্দেশমতে সেই কিশোরী বর্তমানে রাজশাহীতে সেফ হোমে ও স্ত্রী ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন।
কিশোরীর বাবার আবেদনের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়ে পিপি আমানুল্লাহ বলেন, “মেয়ে এবং তার মায়ের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে আমরা এখনই তাদের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তাছাড়া বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।”
ধর্ষণ ও মাথা মুণ্ডনের ঘটনায় কিশোরীর মায়ের করা মামলায় তুফান সরকার ও তার স্ত্রী আশাসহ ১১জন গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের হাতে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন