সখীপুরে ঝোপের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু। ছবিটি হাসপাতালে নেওয়ার আগে উপজেলার বড়চওনা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তোলা।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় একটি ঝোপের ভেতর থেকে দেড় বছরের এক কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উদ্ধারের পর শিশুটিকে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উপজেলার বড়চওনা গ্রামে মুটের পুকুরপাড় এলাকায় একটি ঝোপের ভেতরে শিশুর কান্না শোনা যায়। ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়া লোকজন সেই কান্না শুনতে পেয়ে ঝোপের ভেতরে যান। তাঁরা সেখানে গিয়ে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় কন্যাশিশুটিকে পান। তখন খবর দেওয়া হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই শিশুটিকে দেখতে ভিড় জমায়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনো শিশুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার বাবা-মা বা অন্য কেউ দূর থেকে এসে ওই স্থানে ফেলে গেছেন।
ওই গ্রামের বৃদ্ধা সাবজান বেগম বলেন, ‘শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে আমি গোসল করিয়েছি। একজন মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন, ওই ঝোপের মধ্যে মশার কামড়ে ও দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারণে শিশুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটিকে দেখতে যান সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী সরকার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ। ইউএনও বলেন, ‘আমরা শিশুটিকে চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধানের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছি। হাসপাতালে শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠলে ও এই সময়ের মধ্যে শিশুটির কোনো পরিচয় পাওয়া না গেলে প্রক্রিয়াগতভাবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, ‘শিশুটির অভিভাবকের খোঁজ পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে গাজীপুরে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন