ভারতের বেঙ্গালুরুর ভারথুর ও বেলান্দুর লেকের আশপাশে উড়ছে সাদা মেঘের মতো বিষাক্ত ফেনা। ছেয়ে গেছে আশপাশের আবাসস্থল। বাসিন্দারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। একপ্রকার গৃহবন্দী জীবন কাটাচ্ছে তারা।
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, আগস্টে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। বৃষ্টির পর রাজ্যের বড় দুটি জলাধার ভারথুর লেক ও বেলান্দুর লেকে পানি বেড়েছে। এর সঙ্গে বেড়েছে দূষণও। আর এই দূষণের কারণেই লেক দুটির পানি বিষাক্ত ফেনায় ভরে উঠেছে। আশপাশের এলাকায় উড়ছে সেসব ফেনা। বুধবার পরিস্থিতি আগের যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে যায়।
ভারথুর লেকের পাশের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা খুবই আতঙ্কে আছি, বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে। তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে?’ আরেক বাসিন্দা বলেন, এমন অবস্থার মধ্যে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠানো যায় না। কারণ, এসব বিষাক্ত ফেনা হেলমেট পরা থাকলেও ভেতরে ঢুকে ত্বকের ক্ষতি করে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া আজ বৃহস্পতিবার বলেন, সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এক-দুই বছরের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই দুই লেকের আশপাশে অনেকগুলো কারাখানা। কারখানাগুলোর রাসায়নিক দ্রব্য ও বর্জ্য এসব লেকে গিয়ে পড়ে। মানুষের বর্জ্য ও আশপাশের বর্জ্যের ভাগাড়ও যেন হয়ে উঠেছে লেকগুলো। আর এই অতি দূষণ থেকেই বিষাক্ত ফেনার উৎপত্তি।
সরকারকে সমস্যাটি সমাধানে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করার জন্য ‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল’ এ বছরের শুরুর দিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে। তবে কোনো সমাধান এখনো আসেনি। তবে আশার বাণী শুনিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের বিশেষজ্ঞরা দূষণ থেকে সৃষ্ট বিষাক্ত ফেনার বিষয়টি সমাধান করতে লেকগুলো পরিদর্শন করেছেন আগেই। গত মার্চে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের অধ্যাপক টিভি রামচন্দ্র বলেন, ‘সমস্যার সমাধানটা আমাদের জানা আছে। দূষণ বন্ধ করার মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন