আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা উৎসব। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিজয়া দশমী (দুর্গাপূজার শেষ দিন) অনুষ্ঠিত হবে।
ওইদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এ অনুষ্ঠান শেষ করতে রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ও পবিত্র আশুরার মিছিলের নিরাপত্তা সমন্বয় করতে সভায় তিনি একথা বলেন। সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে ডিএমপি মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ও পবিত্র আশুরা মিছিলের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশ সরকার, প্রশাসন ও পুলিশ সক্ষম ও আন্তরিক। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিসর্জনের দিন অবশ্যই ৩টার মধ্যে প্রতিমা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিসর্জন ঘাটে রওনা দিতে হবে এবং রাত ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন যদি কোনো পূজা উদযাপন কমিটি প্রতিমা বিসর্জন না দেয় তাহলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কমিটির।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরি শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কার কী দায়িত্ব তার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ অফিসারদের দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে এবং ওখান থেকে রাজধানীর সব পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা তদারকি করা হবে।
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে জন্য প্রতিটি মণ্ডপে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বড় বড় পূজামণ্ডপে ডগ স্কোয়ার্ড দিয়ে সুইপিং করার জন্য ডিএমপির ডগ স্কোয়ার্ড ইনচার্জকে নির্দেশ দেন এবং র্যাবকেও সুইপিং করার জন্য অনুরোধ করেন। নিরাপত্তার জন্য তিনি প্রত্যেক পূজা উদযাপন কমিটিকে পূজামণ্ডপে ইন ও আউটের জন্য আলাদা ব্যবস্থা, মণ্ডপের ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি-আর্চওয়ে স্থাপন এবং পুরুষের পাশাপাশি নারী স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে এবং পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে নারী স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা নারীদের তল্লাশি করে মণ্ডপে প্রবেশ করালে নাশকতা, ইভটিজিং, ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
পূজামণ্ডপের আলোর ব্যবস্থা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, পূজামণ্ডপের বাইরের অংশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করবে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং মণ্ডপের ভেতরে জেনারেটরসহ আলোর ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটি। এবার লালকুঠি ও ওয়াইজঘাটে (প্রতিমা বিসর্জনের স্থান) অবশ্যই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে; যেন বিসর্জনের দিনে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
এছাড়া সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হোসনি দালান, বিবি কারওজাসহ আশুরার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কয়েকটি স্থান ও তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয় সভায়।
সভায় র্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), এনএসআই, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, পবিত্র আশুরা মিছিল উদযাপন কমিটি, বাংলাদেশ দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
It is an unconstitutional order. Pakistani and present day Myanmar (Burma) style order. Bangladesh is a country where freedom of religion is guaranteed. Religion in not confine in the hours of the day. If you can not provide security , just resign. THESE KIND OF ORDERS CREATE TERRORISM. MUSLIMS ARE SUFFERING WORLDWIDE. DONALD TRUMP WON. MODI WON. MYANMAR EMBOLDEN. MUSLIMS ARE HATED EVERYWHERE . ORDER LIKE THIS CREATE ANGRY YOUNG MEN TO TAKE LAW INTO THEIR OWN HAND. SO, STOP CREATING TERRORISM AND PROVIDE THE SECURITY OR JUST RESIGN.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন