বেশ ছোট থাকতেই একটি দুর্ঘটনায় আমার ডান হাতটা কাটা পড়ে। এরপর বেশ কষ্ট করে লেখাপড়া করতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আমি গান ভক্ত। রেডিও বা টেলিভিশনে গান শুনে নিজে গুনগুন করে গাইতাম। নিজে কাজ করে লেখাপড়া আর গান শেখার খরচ চালিয়েছি। তবে এখনো একটা হারমোনিয়াম কিনতে পারিনি। কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার উলফাডাঙ্গা গ্রামের এক গান পাগল রাসেল হোসেন।
তিনি বলেন, অভাবের সংসারে বড় হয়েছি। গান শেখার ছিল খুব ইচ্ছা। লেখাপড়া আর গান শেখা একসাথে চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। নিজে কাজ করে লেখাপড়া আর গান শেখার খরচ চালিয়েছি। ১০ বছর আগে কালীগঞ্জে সাহেব আলী স্যারের কাছে প্রথম হাতেখড়ি। এরপর বিভিন্ন জায়গায় তালিম নিয়েছি। একহাত না থাকায় বেশ সমস্যা পোহাতে হয়।
গান ভক্ত রাসেল জানায়, মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে। বর্তমানে কালীগঞ্জ পৌরসভায় অস্থায়ীভাবে একটি পদে চাকরি করছে। বাবা-মার একমাত্র সন্তান সে। অভাবের সংসারে এসএসসির পর থেকে পরিবার থেকে লেখাপড়া বা গান শেখার খরচ চালাতে পারেনি। ৪-৫ শতকের উপর বাড়ি ছাড়া আর কোনো জমি নেই।
সঙ্গীতের সাথে জড়িত অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাসেল খুবই শান্ত ও বিনয়ী স্বভাবের। কালীগঞ্জের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সে গান করে। যেখানেই হারমোনিয়াম দেখে, সেখানেই গান গাইতে শুরু করে। গানের প্রতি তার অনেক ভালোবাসা।
সঙ্গীতমনা জাহিদ কাজী বলেন, রাসেল খুবই ভালো ছেলে। গান শেখার জন্য ছেলেটি অনেক কষ্ট করেছে। ও অনেক ভালো গান করে। পরিবারের সমর্থন পেলে অনেক বড় শিল্পী হতো। আমি রাসেলের জন্য দোয়া করি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন