চট্টগ্রাম নগরী ও বাঁশখালী উপজেলা থেকে আরও ৪২ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করার পর টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবার ভোরে নতুন ব্রিজ গোলচত্ত্বর থেকে আমরা ৫ রোহিঙ্গাকে আটক করি। পরে নগরীর অন্য এলাকা থেকে আটক করা আরও কিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে তাদের বিকেলে টেকনাফ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আটক পাঁচ রোহিঙ্গার মধ্যে ৩ জন নারী ও ২ জন পুরুষ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ (১৩ সেপ্টেম্বর)দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১১ রোহিঙ্গা আটক করা হয়। তাদের জেলা পুলিশের মাধ্যমে টেকনাফে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আটক ১১ রোহিঙ্গার মধ্যে ৫জন নারী, ৪জন পুরুষ ও ২জন শিশু রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি আবুল বাশার।
এদিকে, চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর, চাম্বল ও ছনুয়া থেকে ২৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা উপজেলার কোথাও যেন আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্য আমরা আগে থেকে সতর্ক ছিলাম। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদেরও কোথাও রোহিঙ্গা দেখলে খবর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আজ স্থানীয় এক চেয়ারম্যানেরর সহযোগিতায় এসব রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটক ২৬ রোহিঙ্গার মধ্যে ১৮ জনকে সাধনপুর থেকে, ৬ জনকে ছনুয়া থেকে এবং ২ জনকে চাম্বল এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮ জন নারী, ১৫ জন পুরুষ ও ৩ জন কিশোর কিশোরী রয়েছেন।
অপরদিকে, আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ৬ রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা শেষে কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তারা মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাদের কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই ) আলা উদ্দিন তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয় রোহিঙ্গাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের জেলা পুলিশের মাধ্যমে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে গত তিন দিনে ২১জন রোহিঙ্গা চমেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ফিরে গেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী উপজেলার ফটিকা ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। তার আগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে আরও ১৮ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। ওই ৩৭ রোহিঙ্গাকেও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন