প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালত আইন প্রণয়ন করতে পারে না, সংশোধনও করতে পারে না। সেই অধিকার কেবল সংসদের। আমরা ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে যখন ’৭২ এর সংবিধানের মূল কাঠামোয় ফিরে গেলাম তখন হাইকোর্ট তা বাতিল করে দিলো।
এরপর আপিল বিভাগের রায়ে প্রধান বিচারপতি শত শত বছর পেছনে ফিরে নানা ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে নানা স্ববিরোধিতাও আছে। কোথা থেকে কারা এটা তৈরি করে দিয়েছে সেটাও একটা প্রশ্ন। যে রায় দেয়া হয়েছে-তা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। জনগণের কাছে সবার জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
বুধবার সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ও আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ বিষয়ে উত্থাপিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় এ বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রস্তাবটির ওপর সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদসহ ২০ জন সরকারি, বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্য প্রায় ৪ ঘণ্টা আলোচনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রস্তাবটি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করলে এটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সংসদ, বিচার বিভাগ ও স্বাধীনতাযুদ্ধে একক নেতৃত্বসহ কিছু বিষয়ে পর্যবেক্ষণে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কড়া সমালোচনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই রায়ে বিএনপি খুব খুশি। অথচ এই রায়েই জিয়ার ক্ষমতা দখলকে অবৈধ বলা হয়েছে। সেটা মনে হয় তারা দেখেননি। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকাতেই তারা খুশি। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না। এই সংসদ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। জনগণের অধিকার ও সম্মান সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি প্রস্তাব সমর্থন করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন