আশুলিয়ায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সালিশ বৈঠকে ডেকে এনে লিটন মালন (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, পাথালিয়ার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ ও তার ১০/১৫ জন অনুসারী মিলে ওই যুবককে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়ে সালিশ ডেকে অমানুষিক নির্যাতন ও তাকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের মৃত্যু হলে ঘটনার ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, আশুলিয়ার পাথালিয়ার ইউনিয়নে চাকলগ্রামে ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদের প্রতিবেশি এক নারীর কাছে টাকা ধার চান লিটন। কিন্তু এ ঘটনাটিকে ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়া আছে এমন অভিযোগ এনে বুধবার রাতে লিটনের বাড়িতে সালিশ বৈঠক ডাকেন ইউপি সদস্য ফরিদ। এসময় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে তার পালিত সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম, আতিকুল, ছাকুসহ ১০ থেকে ১৫ জন মিলে ওই বিচারের সময় হাঁত, পা বেঁধে পেটানোর পর লিটনের মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা করে সালিশ বৈঠকের হোতারা। তাদের দেয়া আত্মহত্যার খবরেই পরের দিন সকালে পুলিশ এসে নিহত লিটনের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
লিটনের ভাই রিপন মালন বলেন, এক নারীর কাছে টাকা ধার চাওয়ার ঘটনায় এটিকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সালিশ ডেকে তার ভাইকে হাত, পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করেন তিনি।
নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাত ও নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আওয়াল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান চালছে বলেও জানান তিনি।
নিহত লিটন মালন আশুলিয়ার চাকল গ্রামের বাসিন্দা শ্রী রাজ কিষন মালনের ছেলে। সে পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন