নওগাঁর মান্দায় প্রেমিকের প্রতারণার শিকার ৩মাসের গর্ভবর্তী স্কুলছাত্রী ফারজানা আকতার বৃষ্টি (১৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মান্দা সদর ইউপি’র কয়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সে একই গ্রামের ফজলুর রহমান প্রামানিকের মেয়ে ও মান্দা থানা আর্দশ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিতের জন্য মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্ঠা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উক্ত গ্রামের ঐ স্কুলছাত্রীর সাথে নুরুল্যাবাদ ইউপি’র জোতবাজার গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে সদ্য প্রবাসী ২সন্তানের জনক আবদুর রাজ্জাক মন্ডলের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়ি শ্রীরামপুর চলে যান বলে গুঞ্জণ রয়েছে। প্রেমের সর্ম্পক গভীর হলে তাদের মধ্যে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। এক সময় মেয়েটি ৩ মাসের গর্ভবর্তী হয়ে পড়েন। বিয়ে করে তাকে তাকে ঘরে তুলে নিতে বারবার জন্য চাপ দিলে আসলেও আজ নয় কাল বলে কালক্ষেপন করে আসছিল ঐ প্রতারক প্রেমিক।
ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে ঐ প্রতারক প্রেমিক আবদুর রাজ্জাকের সাথে এ নিয়ে কথা বললে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক সময় মেয়েটি তার ভবিষ্যত অন্ধকার ও অনাগত সন্তানের কথা ভেবে সামাজিকভাবে লাঞ্ছনার হাত থেকে বাঁচার কথা চিন্তার পর অভিমান করে বাড়ির পার্শ্বের একটি আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগে জানা যায়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার লোকজন ঐ আমগাছের নিচে ভিড় জমায়।
পরে থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। তবে মান্দা সদর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল তোফার অনুরোধে লাশ ময়না তদন্ত না করেই দাফনের চেষ্টা করলে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে লাশ দাফন কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।
মান্দা থানার পরিদর্শক আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন