মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরাদর্শদাতা অং সান সু চির দপ্তরের একজন মন্ত্রী দেখা করতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
নিরাপত্তা পরিষদের গতকাল বুধবারের বৈঠকটি বাংলাদেশর পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের শক্ত অবস্থান বলে মনে করছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রস্তাব জোরালোভাবে তুলে ধরবেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ম্যাডাম সু চি তো যাচ্ছেন না বলে আমরা দেখেছি। তাঁর দপ্তরের একজন মন্ত্রী, যিনি পররাষ্ট্র বিষয় দেখাশুনা করেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে চান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। আমি অপেক্ষা করছি। যাইহোক তারপর দেখা যাক কী বলে।’
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান যে যথার্থ তারই প্রতিফলন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদার বৈঠকে পাওয়া গেছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ আমরা তো চাচ্ছিলামই যে, নিরাপত্তা বৈঠকে বসুক এবং এ ব্যাপারে আলোচনা করে তারা একটা বক্তব্য দিক। কাজেই তারা তো দিয়েছে এবং অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং খুবই জোরালো বক্তব্য।’
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরবেন বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি। এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ তুলে ধরে সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলো সুস্পষ্টভাবে পেশ করা হবে।’ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত তিন সপ্তাহে গণহত্যার মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। এ ছাড়া এর আগে থেকেই চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশেই অবস্থান করছিল। তবু এই জনস্রোত থামছে না, থামছে না মিয়ানমারের দমনপীড়ন। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রস্তাব ছিল রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে একটি নিরাপদ এলাকা সৃষ্টি করে সেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়া। এই প্রস্তাবটিও মিয়ানমার প্রত্যাখ্যান করেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো প্রস্তাবের ব্যাপারেই সাড়া দিচ্ছে না দেশটি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন