মানবসম্পদ সূচকে গত বছরের তুলনায় ৭ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশ্বের ১৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১তম। গত বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৪তম। ২০১৫ সালেও ৯৯তম অবস্থানে ছিলো বাংলাদেশ।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এর ‘দ্য গ্লোবাল হিউম্যন ক্যাপিটাল রিপোর্ট-১০১৭’ এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার, শিক্ষিতের হার, শিক্ষার গুণগত মান, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও কাজ করতে গিয়ে শেখার হার, কর্মক্ষম মানুষের চাকরিতে নিয়োজিতের হার, বেকারত্বের হার, আংশিক বেকারত্ব, দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্ব, দক্ষতা, শিশুদের কাজে নিয়োজিতের হার ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ সূচক তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষাখাতে দুর্বলতার কারণে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। প্রাথমিক শিক্ষার মান খুবই দুর্বল। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়েও শিক্ষা অনেক নিম্নমানের। বিশেষজ্ঞ তৈরি হচ্ছে না। শিক্ষাব্যবস্থা কর্মসংস্থান উপযোগী নয়। এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। তাদের অবস্থান ৭০-এ। এরপর নেপালের অবস্থান ৯৮- এ; ভারত ১০৩তম আর পাকিস্তান ১২৫তম। বাংলাদেশের পরেই রয়েছে আফ্রিকার আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মোজাম্বিক, সিয়েরালিয়নের মতো দেশ।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, শূন্য থেকে একশ’ পর্যন্ত স্কোর দিয়ে এই সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। যে দেশ একশ’র যত কাছাকাছি সে দেশ তত এগিয়ে রয়েছে। সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৫১ দশমিক ৭৫, তুলনামূলক কম স্কোর রয়েছে দক্ষতার উন্নয়নে। সূচকে সর্বোচ্চ ৭৭.১২ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। গত বছর দেশটির অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। এবছর দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে গত বছর শীর্ষে থাকা ফিনল্যান্ড। এরপরেই রয়েছে সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, এস্তোনিয়া, নেদারল্যান্ড, কানাডা, বেলজিয়াম, রাশিয়া, জাপান, ইসরাইল। সূচকে মালয়েশিয়া রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে, ভিয়েতনাম ৬৪, কেনিয়া ৭৮, মিয়ানমার ৮৯তম অবস্থানে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন