অবৈধভাবে মোটরসাইকেলের আমদানিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে। সম্প্রতি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক অভিযানে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিদিনই এমন শত শত মোটরসাইকেল জব্দ করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এসব মোটরসাইকেল অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব মোটরসাইকেল দিয়ে ঘটানো অপরাধমূলক কার্যক্রম চিহ্নিত করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে বিপণনকৃত মোটরসাইকেলের প্রায় ৮৬ শতাংশই আমদানি করা। যার অর্ধেকই আসে অবৈধ পথে।
এ বিষয়ে বিএমএএমএর কোষাধ্যক্ষ ও টিভিএস মোটরসাইকলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব অপারেশন বিপ্লব কুমার রায় সমকালকে বলেন, অবৈধভাবে আমদানিকারকরা কম মূল্য দেখিয়ে আমদানি করে। অনেক সময় সীমান্তের চোরাই পথে দেশে নিয়ে আসে। অনুমোদনের চেয়ে বেশি গতির মোটরসাইকেল আনা হচ্ছে। এতে বৈধ আমদানিকারকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রান্সপোর্ট) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, অবৈধ মোটরসাইকেল অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এসব মোটরসাইকেল দিয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় ঘটনাগুলো চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এ ধরনের মোটরসাইকেল জব্দ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মিরপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শামসুল কবীর বলেন, অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে চেসিস নম্বরসহ অন্য বিষয়গুলো চেক করতে গিয়ে অবৈধ আমদানির বিষয়টি ধরা পড়ছে। অনেকে ভুয়া নম্বর প্লেট বসিয়ে এসব মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। অনেকে কম দামের মোটরসাইলের রেজিস্ট্রেশন করে নম্বর প্লেট নিয়ে অবৈধভাবে আমদানি করা বেশি গতির মোটরসাইকেলে ব্যবহার করছে। বিআরটিএ এসব মোটরসাইকেল জব্দে অভিযান চালাচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন