অধিকৃত কাশ্মিরে বেসামরিক বিক্ষোভ দমাতে ভারতীয় বাহিনীর ব্যবহৃত পেলেট নিক্ষেপকারী শটগান নিষিদ্ধ করার জন্য আবারো আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার প্রকাশিত মানবাধিকার গ্রুপটির এক রিপোর্টে বলা হয়, তারা ৮৮ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। শটগান থেকে নিক্ষিপ্ত ধাতব বস্তুর আঘাতে এসব লোকের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের দুজন পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতের নির্বাহী পরিচালক আকর প্যাটেল এক বিবৃতিতে বলেন, এই নির্দয় অস্ত্র ব্যবহারের ফলে আহত ও মৃত্যুই প্রমাণ দিচ্ছে, এটি কত ভয়াবহ ধরনের বিপজ্জনক, ভ্রান্ত ও বৈষম্যমূলক।
তিনি বলেন, পেলেট নিক্ষেপকারী শটগান ব্যবহারের এটা যথার্থ উপায় নয়। শটগানের ভয়াবহ ক্ষতির বিষয়টি বুঝেও কর্তৃপক্ষ দায়িত্বহীনভাবে এর ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরে সরকারি বাহিনী ২০১০ সাল থেকে বিক্ষোভকারীদের দমাতে পেলেট গান ব্যবহার করে আসছে।
গত বছর ভয়াবহ মাত্রায় এর ব্যবহারের ফলে শিরোনাম হয় ‘মৃত চোখের মহামারী’। তখন থেকে অ্যামনেস্টি এবং অন্যান্য মানবাধিকার গ্রুপ শটগানের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
শটগান দিয়ে একটি কাট্রিজ দিয়েই অন্তত ৫০০ উচ্চগতির ধাতব পেলেট নিক্ষেপ করা যায়। এগুলো যেকোনো দৃশ্যমান অঙ্গে বিদ্ধ হয়। এগুলো দেহ থেকে খুলে ফেলা বেশ কঠিন।
শটগান বন্ধ করার অভিযানে অন্যতম নেতা ড. জাফর ওয়ানি বলেন, অনেকের মাথার ভেতর এখনো পেলেট রয়ে গেছে। অনেকের চোখের কাছেও বিদ্ধ হয়ে আছে পেলেট।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, পেলেটের শিকারদের মধ্যে ৯ থেকে ৬৫ বছরের লোক রয়েছে।
অ্যামনেস্টর সাক্ষাৎকার নেয়া লোকদের মধ্যে ৯ বছরের আসিফ আহমদ শেখও রয়েছে। পেলেটের আঘাতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অ্যামনেস্টিকে সে জানিয়েছে, এখন আমার স্বপ্ন হলো টিভিতে কার্টুন দেখা, রাস্তায় বন্ধুদের সাথে খেলা করা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই পড়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন