রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠানোর পর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টেলিফোন আসে বলে বলে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
সুষমা স্বরাজকে উদ্ধৃত করে নজরুল বলেন, “রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের যে অবস্থান, ভারতেরও একই অবস্থান।
“তারা (মিয়ানমার) যেন তাদের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়, সেজন্য ভারত দ্বিপাক্ষিত ও বহুপাক্ষিক চাপ দিয়ে যাওয়া কথা বলেছেন উনি (সুষমা)।”
“ভারতের কথাও হল, রোহিঙ্গাদের উপর মারধর বন্ধ করতে হবে,” বলেন উপ প্রেস সচিব।
এর আগে দুপুরে রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৩ টন ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাও সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সন্তোষজনক ফলাফল আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
“বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এ বিষয়ে যুক্ত; ভারত সহযোগী (পার্টনার)। উদ্ভূত মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সমর্থন বাংলাদেশের সাথে আছে।”
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিয়ানমার সফরে গেলেও রোহিঙ্গা বিষয়ে কিছু বলেননি, যা নিয়ে আলোচনা ছিল।
ভারতের বাংলাদেশের পাশে থাকার বক্তব্যের দিনই মিয়ানমারে চীনের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সরকারি সংবাদপত্র নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলেছে, রাখাইনের সমস্যার বিষয়টি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে দেখছে বেইজিং।
এক সন্ত্রাসী হামলার পর রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা অভিযানে নিপীড়নের শিকার হয়ে তিন সপ্তাহে ৪ লাখের মতো মুসলিম রোহিঙ্গা এরই মধ্যে শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
এই নতুন ও পুরনো মিলিয়ে আট লাখ শরণার্থীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারকে বাধ্য করতে ভারত ও চীনের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্যও বাংলাদেশের অনেকে সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন।
শ্রিংলা বলেন, “আমরা মিয়ানমারকে কফি আনান অ্যাডভাইজরি কমিশনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছি। এজন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার প্রস্তাবও করেছি, যাতে রাখাইনে বসবাসকারী সবাই সমানভাবে লাভবান হয়।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন