নিজেই সহিশুদ্ধভাবে কোরআন পড়তে পারেন না। অথচ এমন ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণমিক্ষা কার্যক্রমের সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের কাগুজিরপুলে আল মদিনা জামে মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি ওই মসজিদের সভাপতিও। তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিয়ে মসজিদ-সংলগ্ন হিলফূল ফুজুল নূরিয়া হাফিজি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিলকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দেন। এর বিনিময়ে ওই শিক্ষককে গত জুলাই ও আগস্টে এক হাজার করে টাকা দিয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাউফল উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের একজন শিক্ষক প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা করে পান। ২০১৫ সালে হাশেম মৃধা বাড়ির ওই মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণমিক্ষা কার্যক্রমের সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র চালু হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, ইব্রাহিম খলিল শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, গত দুই মাসে তাকে কোরআন শেখানো বাবদ এক হাজার টাকা করে দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শফিকুল ইসলাম নামে কেউ কোনোদিন তাদেরকে কোরআন শিক্ষা দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, বিষয়টি আমরা জানতাম না। এর চেয়ে ভন্ডামি আর কি হতে পারে? তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, তিনি হাফেজি মাদ্রাসার একজন শিক্ষককে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
এটা তিনি পারেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি ফোন কেটে দেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পরিদর্শক মো. শফিউল্লাহ বলেন, শফিকুল ইসলামের এক আত্মীয় আওয়ামী লীগের নেতা। সে প্রভাবেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে বাদ দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, আজকে থেকেই তাকে (শফিকুল ইসলাম) বাদ দেওয়ার জন্য বলা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন