মিয়ানমারের রাখাইন থেকে প্রায় চারে চার লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এখনও দেশটিতে রয়ে গেছেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। তাদের বেশিরভাগই অবরুদ্ধ। অনেকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছেন। হাজার হাজার রোহিঙ্গা দুর্গম বনজঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন জীবন বাঁচাতে।
বাংলাদেশে যারা এসেছেন তাদের একটা অবস্থা তো হয়েছে। কিন্তু যারা মিয়ানমারে আটকা পড়েছেন তাদের অবস্থা করুণ।
অসহায় ওই জনগোষ্ঠীর সাহায্যে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে ছুটে গেছেন এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ী। তার নাম জাকির আলি। বাড়ি হায়দারাবাদ।
জিও নিউজ জানায়, জাকির পাক সরকারের কাছে আবেদন করেছিল দশটি রোহিঙ্গা পরিবারকে তার কাছে হস্তান্তর করতে। তিনি তাদের খরচ বহন করবেন। বাংলাদেশ দূতাবাসেও একই আবেদন করেন তিনি। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি।
এরপর তিনি ইয়াঙ্গুনে চলে যান। সেখান থেকে রাহিঙ্গাদের জন্য জিনিসপত্র কেনেন। কিন্তু তার দুঃখ লেগেছে যে তিনি এসব ত্রাণ নিজের হাতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিলি করতে পারেননি।
জাকিরের এ ঘটনা পাকিস্তানের আরেক মানবপ্রেমিক আবদুল সাত্তার ঈদীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ২০০৯ সালে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় ঈদী কয়েক টন ত্রাণ ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কায়রো গিয়েছিলেন। তিনি গাজা উপত্যকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সফল হননি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন