টুডে ডেস্ক
হাসিনা 'হত্যা চেষ্টা' চেষ্টা হয়েছে । এ নিয়ে নাকি ১৯ বার 'হত্যা চেষ্টা' হয়েছে । আর তা করেছে খোদ তাঁরেই নিরাপত্তায় নিয়োজিত সামরিক বাহিনী । এমন খবর দিলো ভারতীয় সাংবাদিক ও তাদের মিডিয়া। ব্যস, আর যায় কই । সাথে সাথেই হামলে পড়লো ভারতীয় হাইকমিশনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে চালিত একাত্তর টিভি ও মোজাম্মেল বাবুরা । দেশের প্রধান প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলো এই আজগুবি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রচারের গরজ বোধ না করলেও একাত্তর টিভি ও মোজাম্মেল বাবুরা তো আর বসে থাকতে পারে না । নুন খেলে তো আর গুন গাইতেই হয় । প্রচার হলো ব্রেকিং নিউজ । প্রধানমন্ত্রী কে হত্যার চেষ্টা বিফল করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী ।
একাত্তর টিভি ও মোজা বাবুরা নিউজটা কিভাবে লাইম লাইটে নিয়ে এসেছে সেটার ভালো একটা বয়ান দিয়েছেন আরেক হাসিনা লেহনে চ্যাম্পিয়ান বশংবদ সাংবাদিক পীর হাবীব ।
টকশোতে এই চাঞ্চল্যকর, ভয়ংকর সত্য নিয়ে আলোচনার পর বন্ধু মঞ্জুরুল ইসলামের অফিস কক্ষে কফি পান করতে করতে দেখলাম তিনি একের পর এক টেলিফোন ধরছেন, নিউজ ব্ল্যাকআউট করছেন। পূর্বপশ্চিমবিডি।নিউজের সম্পাদক খুজিস্তা নূর ই নাহরীন তিনিও আমাদের নিউজ পোর্টাল থেকে এই খবর ব্ল্যাক আউট করে দিচ্ছেন। আমি নিজেও অনেক টেলিফোনের জবাবদিহিতার মধ্যে পরলাম। এই রকম একটি খবর ব্ল্যাক আউট করতে গিয়ে একজন সংবাদকর্মী হিসাবে এত বছর কাটিয়ে এসে মনে হচ্ছিল, নিজের বুক কাঁটছি।
মধ্য রাতে টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ জার্নাল দেখতে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবুকে অভিনন্দন জানাতে ইচ্ছা করলো। তিনি এই সংবাদ নিয়ে বিস্তর আলোচনাই করান নি। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার বা সিনিয়র সাংবাদিক সুবীর ভৌমিকের সঙ্গে সরাসরি উপস্থাপিকা ফারজানা রূপার টেলিফোন সাক্ষাতকারটিও শুনতে পেলাম। সুবীর ভৌমিক বলছেন, ঘাত কেঁটে তিনি সাংবাদিক হননি। কলকাতায় বসে অনুপ চেটিয়ার গ্রেপ্তারের খবর যেমন আগাম দিয়েছিলেন; তেমনি বিলম্ব হলেও শেখ হাসিনা হত্যার ষড়যন্ত্র বানচালের খবরটি দিয়েছেন সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছিলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগসূত্রে কিভাবে এই হত্যা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা হয়েছিল এবং তা বানচাল হয়েছে।
ভালো করে পড়ুন । ভুয়া( মন্ত্রী পরিষদ ও হাসিনার কার্যালয়ের ভাষায়) এই খবরকে কিভাবে লাইম লাইটে নিয়ে আসে মোজাম্মেল বাবু, তাঁর একাত্তর টিভি সাথে ফারজানা রূপারা । এবার আজ বিকেলে সেই ফারজানা রূপাই ফেসবুক স্ট্যাটাস কি লিখেছেন দেখুন ।
খুব বেশি দেখার সুযোগ আমার হয়নি। কিন্তু যতোটুকু দেখেছি, এই নয় বছরে, প্রতিবার অবাক হয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ সদস্যদের দেখে। কখনো মনে হয়নি, শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন তারা। বরং, বিস্ময়ের সাথে দেখেছি, নির্মোহভাবে শুধুমাত্র শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন তারা। দু মিনিট আগেও হাসিমুখে যিনি খোঁজখবর নিয়েছেন সেই তিনিই শক্ত হাতে এই সেদিনও কুতুপালং ক্যাম্পে আমাদের সরিয়ে দিয়েছেন । আর প্রতিবারই মনে হয়েছে... এরা যে ধাতুতে তৈরি তা শেখ হাসিনার ইশারাটি বুঝেন। বুক দিয়ে আগলে রাখেন। ( ব্যতিক্রম থাকতে পারে) । কেনো যেনো মনে হচ্ছে, এই আন্তরিক, প্রশিক্ষিত, পেশাদার বাহিনীর মনোবল ভেংগে দেয়ার ষডযন্ত চলছে!
কথা হচ্ছে এরা কার স্বার্থে মিডিয়া চালায়? কাদের কাছে এরা দায়বদ্ধ ? জঙ্গিবাদের লেবেল দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে চায় ভারত। ভারতের প্লান বাস্তবায়নে একাত্তর টিভি, মোজাম্মেল বাবু, পীর হাবিবরা এতো ব্যস্ত কেন?
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন