যুবলীগ নেতার পছন্দের আনসার সদস্যকে পূজায় ডিউটি না দেওয়ায় বাগমারা থানা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) পিটিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় এক শিক্ষকসহ আনসার ভিডিপির দুই কর্মকর্তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। রোববার বিকেলে বাগমারার ভবানিগঞ্জ আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পরে যুবলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বাগমারায় পূজার ডিউটির জন্য রোববার সকাল থেকেই স্থানীয় আনসার সদস্যদের বাছাই প্রক্রিয়া চলছিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আনসার ভিডিপির জেলা অ্যাডজুটেন্ট শাহীনুর রহমান ও উপজেলা আনসার কর্মকর্তা নারগিস বেগম। বেলা আড়াইটার পর্যন্ত এ বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ৩৫৪ জনকে চূড়ান্ত করা হয় পূজার ডিউটি পালনের জন্য। কিন্তু ওই তালিকার মধ্যে বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইনুল হকের ভাই মকলেছুর রহমানের দেওয়া তালিকার ২০ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম না থাকায় তিনি ক্ষিপ্ত হন।
এক পর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে মকলেছুর তার লোকজন নিয়ে গিয়ে আনসার ভিডিপির দুুই কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান এবং নারগিস বেগমকে লাঞ্চিত করেন। এরপর তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে বাগমারা থানা থেকে এসআই আশরাফ আলী কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় মকলেছুর এবং তার সহযোগী হাবিবুর রহমানসহ অন্যরা পুলিশের এসআই আশরাফ আলীকে ধরে মারধর শুরু করেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করতে গেলে বাগমরার দুলারিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্কাছ আলীকেও বেধড়ক মারপিট করেন মকলেছ এবং তার লোকজন। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারী মকলেছুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও যুবলীগ নেতা আইনুল হকসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ভবানীগঞ্জে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের উপর হামলাকারীদের মধ্যে হাবিবুর রহমান সর্বহারা ক্যাডার ছিলেন। বর্তমানে তিনি সাংসদ এনামুল হকের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন।
শীর্ষনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন