মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এইডস আক্রান্ত ১৬ রোহিঙ্গার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। শরীরে মারণ ব্যাধি এইচআইভি নিয়ে চরম ঝুঁকিতে থাকা এসব রোহিঙ্গার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য কক্সবাজারের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।
এইডস আক্রান্ত এই ১৬ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জেলা সিভিল সার্জন মো. আব্দুস সালাম দাবি করলেও তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
সিভিল সার্জনের ভাষ্যে, সংক্রমণ এড়াতে এসব রোগীদের হাসপাতালে দীর্ঘ মেয়াদি চিকীৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু, রহস্যজনক কারণে হাসপাতালে গিয়ে তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা করা হচ্ছে, এইডস আক্রান্তরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ফিরে গেছেন। তাদের শরীরের জীবাণু ঘনবসতির এই অস্থায়ী শিবিরেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এইচআইভি আক্রান্ত কোনো রোহিঙ্গা রোগী নেই। এমনকি কাগজে-কলমে ১৬ এইডস রোগীর অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে তারা ঠিক কোথায় তা হাসপাতালের নার্সরাও দেখাতে পারেননি।
রোহিঙ্গা রোগীদের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত কেবিনে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকেরাও এসব রোহিঙ্গার কোনো সন্ধান দিতে পারেননি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের রোহিঙ্গা ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স শামসুর নাহার পরিবর্তন ডটকমকে জানান, এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গারা হাসপাতালেই আছে শুনেছি।
তবে কোথায়, কতজন আছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে, বিষয়টি জানতে চাইলে দায়িত্বরত নার্স অফিসার হিরণ আহম্মেদ একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে বলেন, ‘এখানেই তো ছিল এসব রোহিঙ্গা। কিন্তু, তারা গেল কোথায়?’
এরপর নার্স অফিসার হিরণকে নিয়ে হাসপাতালের কয়েকটি নির্ধারিত ওয়ার্ডেও সন্ধান চালানো হয়। কিন্তু, ফলাফল একই।
পরে বৃহস্পতিবার রাতেই কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এবারও পরিবর্তন ডটকম’র কাছে তিনি দাবি করেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাদের এইচআইভি সনাক্ত করা হয়েছিল, তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কিন্তু, তারা ঠিক কোথায় আছেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি ডা. আব্দুস সালাম।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন