ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনসহ মোট ১১টি অভিযোগের দালিলিক তথ্যাদি হস্তান্তর করেছেন রাষ্ট্রপতি। এখন নিয়ম অনুসারে এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক তদন্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী।
শনিবার রাতে পরিবর্তন ডটকমের সঙ্গে এক ফোনালাপে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ অভিমত দেন।
দায়িত্বরত অবস্থায় একজন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে সামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অন্যদের (সাধারণ জনগণ) ক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তার বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি দুদক তদন্ত করবে, যেহেতু অভিযোগগুলো এসেছে এবং দালিলিক প্রমাণসহ অভিযোগগুলো এসেছে।’
তবে সাবেক সহকর্মীর বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু তিন বছরের ভিসা নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন, সেহেতু তাকে ফেরানো কঠিন হবে। প্রধান বিচারপতি (স্বপদে) থাকছেন না। এখন তিনি নিজেও পদত্যাগ করতে পারেন বা রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে সরিয়ে দিতে পারেন।’
আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, ‘একটা বিষয় নিশ্চিত, তিনি আর প্রধান বিচারপতি থাকছেন না। আমি সবসময় বলে এসেছি- তিনি আর দেশে আসবেন না।’
প্রসঙ্গত, ছুটিতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনসহ ১১টি গুরুতর অভিযোগ দালিলিক তথ্যাদিসহ চার বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর চার বিচারপতিকে বঙ্গভবনে ডেকে অভিযোগ সম্বলিত দলিলপত্র হস্তান্তর করেন তিনি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে, ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সস্ত্রীক যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত একাই তিনি অস্ট্রেলিয়া যান।
পরিবর্তন
পাঠক মন্তব্য
Tui chup kor.
By default ,a corrupted Justice Shamsuddin Manik knows reports of huge corruptions committed by the Chief Justice Surrendra Sinha. Actually they all were birds of a feather. All the BAL/ RAW brutal Justices including these two suppressed the few honest Justices in the Supreme Judiciary. Justice Khairul and these groups enjoyed huge advantages from the brutal BAL/RAW govt , though some of them grew inimical to each other for clash of interest. These Justices were all busy implementing BAL /RAW directions historically in the worst possible manner , leading the whole country into anarchy and pandemonium. NB: Alongside corruption and sex allegation, some justices have the record of involvement of killing political opponents while they were university students.Since they were BAL/RAW selected,no body could vehemently challenge them.They have long been using Judiciary to hold mock trials and to let loose the BAL/RAW Police/RAB in committing nationwide heinous oppression,abduction and crossfires.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন