রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসা থেকে সোমবার রাতে সায়েম দেওয়ান (১৫) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরের বাম হাতে ‘ব্ল হোয়েলের’ (নীল তিমি) মতো বিশেষ চিহ্ন দেখে পরিবার ও পুলিশের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। সায়েম কেন আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত নয়।
তারা বলছেন, মোবাইল ফোনের গেমে আসক্ত হয়ে সে আত্মহত্যা করতে পারে। কিন্তু ওই কিশোর বাসার পাশেই তার বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করতো। এ ধরণের একজন চায়ের দোকানের কর্মচারীর পক্ষে ব্ল হোয়েল গেমে আসক্ত হয়েছিল কিনা অথবা তাকে কেউ হত্যা করে তার হাতে নীল তিমির চিহ্ন আঁকিয়ে দিয়েছে কিনা তা তদন্তের দাবি করেছে পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৭৬০ নম্বর কাজীপাড়ার টিনশেট বাসায় ফ্যানের সঙ্গে কাপড় দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সায়েমের লাশ পাওয়া যায়। ছেলেটি ওই বাসায় তার দাদা জালাল দেওয়ান ও দাদী শিরিন বেগমের সঙ্গে থাকতো। পাশেই অন্য একটি বাসায় তার বাবা ও সৎ মা থাকেন। অবশ্য ওই কিশোরের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্লুহোয়েল ম্যাসেঞ্জারে আদান-প্রদানের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে ওই কিশোর আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।’
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ছেলেটির হাতে সুই দিয়ে ছিদ্র করে একটি মাছের প্রতিকৃতি আঁকা রয়েছে। যেটি ব্লু হোয়েল গেমের একটি ধাপ হয়ে থাকতে পারে। সে মাত্র পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। তাও দেড় বছর আগে পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। এ পরিস্থিতিতে ব্লু হোয়েল অ্যাডমিনের ইংরেজিতে পাঠানো নির্দেশনা তার বোঝার কথা নয়। তবে সব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন