১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) বেতন-ভাতা খাতে খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ, ২০০৯-১০ সালে ছিল ৭১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বর্তমানে ৯৩৯৪ জন কর্মীর জন্য এ খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯১ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
ডিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চসিকের তহবিল থেকে ২০-৩০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড দিতে হচ্ছে। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেনা ছিল ২৯৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। দুই বছরে শোধ করা হয়েছে ১৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্যে চসিকের সক্ষমতা বাড়াতে আইন বাধ্যবাধকতার কারণেই কর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিতে বলা হয়, চসিকে ট্যাক্স নির্ধারণ ও আদায়ে চরম অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।
ড. মুস্তাফিজুর বলেন, চসিক পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়ন শুরু হবে ২০১৬ সালের এপ্রিলে, শেষ হয় চলতি বছরের আগস্টে। নতুন হোল্ডিং ২৮ হাজার ৭০২টি, প্রস্তাবিত বার্ষিক কর ৪৭ কোটি। বর্তমানে মোট হোল্ডিং ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮টি, প্রস্তাবিত কর ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৯ টাকা। নতুন হোল্ডিং বাদে পুরোনো হোল্ডিংয়ের ওপর কর বৃদ্ধির হার মাত্র ৪ গুণ।
তিনি বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, মসজিদ, মাদ্রাসা, প্যাগোডা, গির্জার কর মওকুফ করা হবে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা মন্ত্রণালয় ঘোষিত কর রেয়াত পাবেন। চট্টগ্রাম শহরের আদি বাসিন্দাদের জন্য ন্যূনতম কর নির্ধারণ করা হবে।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কর তফসিল অনুযায়ী ২০১৬ সালে ২৭ শতাংশ কর নেওয়ার বিধান করলেও নগরবাসীর সুবিধার্থে ১৭ শতাংশই নেওয়া হচ্ছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডে আলোকায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় নেওয়া হচ্ছে ১৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, ২০১০-১১ সালে পরিচালনা ও উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়কবাতি ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় ছিল ১৭৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন