আশুলিয়ায় নিখোঁজের ছয়দিন পর একটি বেসরকারি এনজিও কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন উর্মির (৩০) লাশ মাটি খুড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনার সঙ্গে জড়িত এক দম্পত্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাবিনা গাইবান্ধা জেলার সদর থানার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। তিনি চক্রবর্তী এলাকায় স্বামী জাহিদ হাসানের সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থেকে বেসরকারি এনজিও ‘আশা ফাউন্ডেশন’র মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।
বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে আশুলিয়ার কবিরপুর দেওয়ানপাড়া বাংলাদেশ বেতারের সীমানার পাশের ঝোপের ভিতরে মাটি খুড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দম্পত্তি হলেন- কবিরপুর দেওয়ানপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোসলেম হোসেন (৩৮) ও তার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (৩৫)। তারা দুইজন ওই এনজিওর সদস্য।
আশুলিয়া থানার এসআই আশরাফুল আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার সাবিনা মোসলেমের বাড়িতে ঋণের টাকা উত্তোলনের জন্য যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই আশা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। ব্যাপক তদন্ত শেষে বুধবার মোসলেম ও তার স্ত্রী রাজীয়াকে গ্রেপ্তারের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার বিষয় স্বীকার করে।
পরে রাতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি পরিত্যক্ত জমির ঝোপের ভিতরে মাটি খুড়ে সাবিনার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন