খুলনায় পুলিশের নৃশংসতায় দু’চোখ হারানো শাহজালালের শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী ও মাকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে খালিশপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা আক্তার লিমার বিরুদ্ধে। আর এ হামলায় শাহজালালের মা ও স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচ সদেস্য আহত হয়েছেন।
শাহজালালের উপর যে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে খুলনার পুলিশ তার চোখ তুলে নিয়েছিল, সেই ছিনতাইকৃত মাল খোঁজার অজুহাতে এ হামলা চালানো হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
১৮ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহানগরীর খালিশপুরের নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনীতে তাসলিমা নেতৃত্বে ১০-১২ জন নারী-পুরুষের একটি দল হামলা এ হামলা চালায়। এ সময় শাহজালালের শ্বশুর বাড়ি ভাঙচুর হয়।
শাহজালালের বাবা জাকির হোসেন জানান, বুধবার তাদের পরিবারের সবাই শাহজালালের শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ আওয়ামী লীগের নেত্রী তাসলিমার নেতৃত্বে ১০/১২ জন নারী পুরুষের একটি দল ঘরে প্রবেশ করে। এরপর শাহজালালের নাম ধরে ডাকতে থাকে আর বলেন, আমাদের ছিনতাই করা টাকা এবং সোনার চেইন কই। এ সময় তার পুত্রবধূ রাহেলা বেগম বিষয়টি জানতে চাইলে তারা এলোপাতাড়ি হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে হামলা চালায়। এতে তার পুত্রবধূ রাহেলা বেগম, তার মা রাণি বেগম, স্ত্রী রেনু বেগমসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য আহত হয়।
এ সময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। তবে প্রতিবেশীরা মহিলা নেত্রী তাসলিমা ও স্থানীয় নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতি ওরফে মরিয়ম নামে দু’ জনকে আটক করে রাখে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার নাম বলে রিপনসহ কয়েকজন এসে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম জানান, পুরোনো একটি দেনা-পাওনার বিষয় নিয়ে কয়েকজন মহিলা শাহজালালদের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে এসআই রফিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহজালাল জানান, মিথ্যে মামলায় ধরে নিয়ে যেয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। না দিতে পারায় নির্জন স্থানে নিয়ে যেয়ে বুকের ওপর উঠে বসে গলা চেপে ধরে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে চোখ তুলে নেয়া হয়েছে। গত ১৮ জুলাই এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
প্রিয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন