২৫টি রাস্তা সংস্কার করে ভুয়া ভাউচার দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে ৫০টি রাস্তা সংস্কারের টাকা উত্তোলন করেছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খান। এঘটনায় ওই প্রকল্প কর্মকর্তাকে ২২ লাখ টাকা সরকারি খাতে জমাদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মাগুরা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: জাকারিয়া জানান, শালিখা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খান ২০১৬/১৭ অর্থবছরে শালিখা উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫০ টি কাঁচা রাস্তা সংস্কার ও উন্নযনের প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি খাত থেকে ৪৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এ ঘটনার পর তিনি শালিখার বিভিন্ন এলাকায় ২৫ টি কাচা রাস্তা উন্নয়ন ও সংস্কার করে ৫০ টি রাস্তা উন্নয়নের বিল ভাউচার অফিসে জমা দেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: আতিকুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার পর মাগুরা জেলা প্রশাসক অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: জাকারিয়াকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখতে পান যে, শালিখার বিভিন্ন এলাকায় মাত্র ২৫ টি রাস্তার সংস্কার করা হলেও শালিখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ২৫ টির স্থলে ৫০ টি রাস্তা সংস্কার দেখিয়ে অফিসে বিল দাখিল ও টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। তদন্ত শেষে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শালিখা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ২১ লাখ ৭৪ হাজার ৬১৬ টাকা সরকারি কোষাগারে সাত দিনের মধ্যে ফেরতদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত মিরাজ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি।
শীর্ষ নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন